পুরসভার এলাকা নির্ধারণে বাসিন্দাদের মত জানতে আগামী ২৯ জুন, রবিবার বক্সিরহাটে নাগরিক সভা ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতি। দুপুর ২টায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে ওই সভা হবে। তাতে বাসিন্দাদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমিতি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ডাকা হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃত্বকেও। শুক্রবার তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি তৃণমূলের বক্সিরহাট ব্লক কার্যকরী সভাপতি স্বপন সাহা বলেছেন, “বক্সিরহাট পুরসভা এলাকার মর্যাদা পাওয়ার ঘোষণায় আমরা খুশি। এ বার পুরসভায় কোন কোন এলাকা রাখা হবে তা চিহ্নিত হবে। নাগরিক সভায় সবার মত নিয়ে প্রস্তাবিত এলাকার খসড়া হবে।”
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বুধবার বিধানসভায় ২২টি নতুন পুরসভা তৈরির কথা ঘোষণা করেন। তাতে কোচবিহারের বক্সিরহাটও রয়েছে। ওই খবর চাউর হতেই উৎসবের আমেজ এলাকায়। বৃহস্পতিবার সেখানে মিছিল করেন তৃণমূল সমর্থকরা।
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, ভানুকুমারি ১ ও ২ পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা নিয়ে বক্সিরহাটের সীমানা। জনসংখ্যা পঁচিশ হাজারের মতো। মদনমোহনপাড়া, বিডিও অফিস রোড, গাঁধীপাড়া, থেটারপাট, থানাপাড়া, সুভাষপল্লি, হাসপাতালপাড়া, মারোয়াড়ি পট্টি এলাকা প্রস্তাবিত পুরসভার অধীন আনার বিষয়টি একরকম চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। স্বপনবাবু জানান, প্রাথমিক ভাবে বক্সিরহাট পুরসভার প্রস্তাবিত এলাকা উত্তরে ভানুকুমারি বাজার, দক্ষিণে জোড়াই মোড়, পূর্বে অসমের ছোটগুমা সীমানা, পশ্চিমে নাকারখানা সীমানা পর্যন্ত রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে বিতর্কের অবকাশ যাতে না থাকে সেই জন্য নাগরিক সভা করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে খুশি বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, সভায় সবাই নিজের মত তুলে ধরার সুযোগ পাবে। কোনও এলাকা নিয়ে আপত্তি থাকলে তাও সামনে আসবে। সভায় আমন্ত্রণ পেলে বিজেপি এবং সিপিএম যাবে বলে জানিয়েছে। বিজেপির তুফানগঞ্জ ২ ব্লক পর্যবেক্ষক জ্যোতিষ সরকার বলেন, “সভার আমন্ত্রণ পেলে আমরা অবশ্যই যাব। আমাদের বক্তব্য জানাব। উন্নয়নের ব্যাপারে রাজনৈতিক দূরত্ব রাখতে চাই না।” সিপিএমের বক্সিরহাট জোনাল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শিখা আদিত্য বলেন, “আমন্ত্রণ পেলে আমরাও যাব। আমরা বৈঠক করে খসড়া রূপরেখা সভায় তুলে ধরব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy