Advertisement
E-Paper

ক্লাসে তালাবন্ধ প্রধান শিক্ষক

মিড ডে মিল রান্নার রাঁধুনি নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষককে ক্লাস রুমে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরিপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। এ দিন নুরিপুর সংসদের পাঁচটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর শতাধিক মহিলা সদস্য সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম দেবনাথকে ক্লাস রুমে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪ ০২:০৩

মিড ডে মিল রান্নার রাঁধুনি নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষককে ক্লাস রুমে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরিপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। এ দিন নুরিপুর সংসদের পাঁচটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর শতাধিক মহিলা সদস্য সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম দেবনাথকে ক্লাস রুমে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান।

খবর পেয়ে রায়গঞ্জের বিডিও পৃথক ভাবে তাঁর দফতরে গৌতমবাবু ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের ডেকে পাঠান। কিন্তু বিডিও অফিস চত্বরে মহিলারা গৌতমবাবুকে দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। বিডিওর আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

স্বনির্ভরদের অভিযোগ, “সম্প্রতি, স্কুল ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যোগসাজশ করে সকলকে অন্ধকারে রেখে দুই জন মহিলাকে মিডডে মিল রান্নার রাঁধুনি হিসাবে নিয়োগ করেছেন।” এ দিন আন্দোলনকারীরা বিডিও-র কাছে স্থানীয় পাঁচ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাঁধুনি হিসেবে নিয়োগ করার দাবি জানান। বিডিও অমূল্য সরকার বলেন, “যে সংসদ এলাকায় স্কুল, সেই সংসদের বাসিন্দাকে মিডডে মিলের রাঁধুনি হিসাবে নিয়োগ করাটা বাধ্যতামূলক নয়। পঞ্চায়েত প্রধান ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি খতিয়ে দেখা হবে।” স্কুল ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ অভিযোগ উড়িয়ে দেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক গৌতম দেবনাথ বলেন, “স্কুলের অ্যাড-হক কমিটি পঞ্চায়েত প্রধান ও গ্রামবাসীদের একাংশ বৈঠক করে লোক নিয়োগ করেছে। এই ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই।” আর গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান রানি বর্মন বলেন, “বৈঠক করে সবার মত নিয়েই প্রায় এক মাস আগে পঞ্চায়েত এলাকারই দুই বাসিন্দাকে আবেদনের ভিত্তিতে রাঁধুনি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। নির্বাচনের মুখে পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।”

২০১০ সালের জুলাইয়ে নুরিপুর জুনিয়র হাইস্কুলটি চালু হয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে ১০১ পড়ুয়ার জন্য দু’জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে রাঁধুনি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। এ দিন আন্দোলনকারীদের তরফে নুরিপুর সংসদের জনসেবা হাসনা ও স্বর্ণজয়ন্তী মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দুই দলনেত্রী পার্বতী দাস ও কদবানু খাতুনের অভিযোগ, “স্কুল ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নুরিপুর সংসদের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে অন্ধকারে রেখে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে অন্য দুই সংসদের মহিলাদের রাঁধুনি হিসেবে নিয়োগ করেছেন। বিডিওকে নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছি।” দাবি মানা না হলেও স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মহিলারা।

mid day meal rayganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy