Advertisement
২১ মে ২০২৪

খেত ডুবে ক্ষতির আশঙ্কা চাঁচলে

অসংরক্ষিত এলাকায় এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ফুলহার। গত সোমবার থেকে ফুলহারে জল কমতে শুরু করলেও, এ দিন বুধবার অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার অন্তত ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে জল বইছে। তবে এ দিন সংরক্ষিত এলাকায় সর্তকতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। নদীর জলস্তর নামতে থাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়া এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ক্ষেতের ফসল এখনও জলে ডুবে রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল ও ধুবুরি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৪ ০১:২৯
Share: Save:

অসংরক্ষিত এলাকায় এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ফুলহার। গত সোমবার থেকে ফুলহারে জল কমতে শুরু করলেও, এ দিন বুধবার অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার অন্তত ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে জল বইছে। তবে এ দিন সংরক্ষিত এলাকায় সর্তকতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

নদীর জলস্তর নামতে থাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়া এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ক্ষেতের ফসল এখনও জলে ডুবে রয়েছে। চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “প্রশাসনের তরফে আগাম সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ফুলহারের জল নামছে।”

সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার নদীর জলস্তর ছিল ২৮.৩৯ মিটার। বুধবার দুপুরে তা দাঁড়িয়েছে ২৮.১৫ মিটারে। জল কমলেও বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়েই নদী বইতে থাকায় সংরক্ষিত এলাকায় এখনও হলুদ সর্তকতা জারি রয়েছে। সেচ দফতরের মহানন্দা এমব্যাঙ্কমেন্টের ভালুকা ডিভিশনের মহকুমা আধিকারিক গোপাল দাস বলেন, “জল কমলেও, পরিস্থিতির দিকে সর্তক নজর রাখা হয়েছে।”

অসংরক্ষিত এলাকার এই গ্রামগুলির রাস্তা এখনও জলের তলায় থাকায় যাতায়াতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ডুবে রয়েছে ধান, পাট, পটল, ঢেঁড়শ, লঙ্কার খেত। যদিও ফসল ও সব্জির ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারিত হয়নি বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, অসংরক্ষিত এলাকায় মূলত ভুট্টা সহ সবজি চাষ হয়। সেই সঙ্গে কিছু এলাকায় ধান ও পাট চাষ হয়। অধিকাংশ ভুট্টা ক্ষেত থেকে তুলে নিয়েছেন কৃষকরা। তবে বাকি ফসলের ক্ষতির পরিমান কতটা তা জল পুরোপুরি না নামলে বলা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে।

মালদহের উপ কৃষি অধিকর্তা সজল ঘোষ বলেন, “জল পুরোপুরি না নামলে ফসল ও সব্জির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। কেননা জলে ঢুবে থাকলেও সব ফসল যে নষ্ট হবে তার মানে নেই।” হরিশ্চন্দ্রপুরের উত্তর ভাকুরিয়া এলাকার অবনী মণ্ডল, সুধীর যাদবেরা বলেন, “যা পরিস্থিতি তাতে পাট ক্ষেতের ক্ষতি না হলেও এলাকার সব্জি ক্ষেতের সবটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” মহকুমাশাসকের আশ্বাস, ফসলের ক্ষতির বিষয়টি কৃষি দফতর দেখবে।

তবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি অসমের ধুবুরিতে। দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর মহকুমায় গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত না হলেও এখনও ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার প্রায় ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এ দিন দক্ষিণ শালমারা থানার চতলারপার গ্রামে কলার ভেলা করে নদী পার হতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে, গভীর জলে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে জাহানউদ্দিন শেখ নামের ১১ বছরের এক কিশোর। প্রায় ১০০টি গ্রামে জলবন্দি প্রায় ২ লক্ষ লোক। কোনও ত্রাণ শিবির খোলা হয়নি বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত জেলাশাসক মহিন শইকিয়া জানান, আপাতত চিড়ে ও গুড় বিলি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

chanchal dhuburi flood affected phulhar river
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE