বন্ধ চা বাগান চালু করাতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত সব মহলকে নিয়ে কনভেনশন করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। বুধবার ডুয়ার্সের ফালাকাটায় এক জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, সব ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের চা মহলের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে কনভেনশন হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন থাকবেন। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। ওই কনভেনশনে উঠে আসা প্রস্তাব খতিয়ে দেখে দ্রুত কী ভাবে বন্ধ বাগানগুলি খোলানো যায় সেই রূপরেখা তৈরি করা হবে। রাহুলবাবু বলেন, “বাগান বন্ধ থাকলে শ্রমিকরা চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েন। একটি পক্ষ অনেক সময় লাভবান হন। তা আর হতে দেওয়া যাবে না। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত বন্ধ চা বাগান চালু করবে।”
চা বাগান মালিক পক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাগান মালিকদের যৌথ সংগঠন কনসাল্টেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরবঙ্গের আহবায়ক অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেছেন, “যে কোনও সরকার চাইলে বাগান চালু করতে পারেন। বার বার আমরা চাইছি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার চা শিল্পকে সাহায্য করুক।”
বর্তমানে তরাই ও ডুয়ার্সে মোট ৯ টি চা বাগান বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে ঢেকলাপাড়া চা বাগান। বাকিগুলির মধ্যে রেডব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর তিনটি বাগান যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে মধু, সোনালি, পাটকাপাড়া, রহিমাবাদ, বান্দাপানিও।
বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী এ ধরণের উদ্যোগ নিলে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার পাশে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। মলয়বাবু বলেছেন, “একটি বাদে বাকি বাগানগুলির কোনটি খোলার অবস্থায় নেই। ওই সমস্ত বাগানেরব কোনটির বিরাট পরিমাণ দেনা শোধ না করে অন্য মালিকের হাতে বাগান তুলে দিয়েছেন। আইন গত জটিলতা রয়েছে। ওই সমস্ত বাগানে।” শ্রম মন্ত্রীর কথায়, “লিজ বাতিল করে নতুন মালিককে বাগানের দায়িত্ব তুলে দিতে পারে এক মাত্র কেন্দ্রীয় সরকার। সে ক্ষমতা রাজ্যের হাতে নেই। আমায় বৈঠকে ডাকা হলে শ্রমিকদের স্বার্থে নিশ্চই আমি সেখানে যাব।” সিটুর নেতা জিয়াউল আলমের কথায়, “কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে বাগানগুলি চালু হতে পারে। যৌথ উদ্যোগ আমরা চার বছরে দেখতে পাইনি।” আরএসপির চা শ্রমিক সংগঠন ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সহ সভাপতি নির্মল দাসের কথায়, “এ ভাবে বন্ধ বাগান চালু করা যায় না তা যদি হয় তা হবে অবিশ্বাস্য ঘটনা। এ ভাবে চালু করতে গেলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। এর আগে জয়রাম রমেশ বাগান চালু করতে পারেননি যদি সমস্ত বন্ধ বাগান চালু হয় তা হলে আমরা খুশি হব।” এদিন শিলিগুড়িতে উত্তর কন্যায় চা বাগানের সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি সহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বাগানের মজুরি বৃদ্ধি সহ বন্ধ বাগান চালু করার বিষয়টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy