জামুনিতে জিটিএ-র পর্যটন প্রকল্পে জমি দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন কয়েকজন অনিচ্ছুক জমিদাতা। গত মঙ্গলবারই অনিচ্ছুকদের কাছে জমি চেয়ে ‘শেষবারের’ জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন জিটিএ-র চিফ বিমল গুরুঙ্গ। সে আবেদনে সাড়া দিয়ে ৭ জন অনিচ্ছুক এ দিন জমি দিতে চেয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তবে জেলা প্রশাসনের কাছে অনিচ্ছুকরা এখনও কোনও আবেদন করেননি বলে জানা গিয়েছে। জিটিএ-র তরফে দাবি করা হয়েছে, অনিচ্ছুকরা জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাই প্রশাসনকেই লিখিত ভাবে তাঁদের সম্মতি জানাতে হবে। ২০১২ সালে জিটিএ-র তরফে দার্জিলিং থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে জামুনিতে প্রায় ১৪ একর জমিতে পর্যটন প্রকল্প গড়ে তোলার ঘোষণা হয়। সেই মতো জমি অধিগ্রহণও শুরু হয়। তারপরেই প্রকল্প ঘিরে নানা বির্তক দানা বাঁধে। বুধবার অনিচ্ছুকদের মধ্যে অন্যতম মনিলাল তামাঙ্গ বলেন, “যথাযথ ক্ষতিপূরণ, পরিবারের সদস্যদের একজনের সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে প্রকল্পে জমি দিতে রাজি আছি।” জিটিএ সূত্রের খবর, প্রথমে ন’জন জমি দিতে আপত্তি করলেও পরে দু’জন রাজি হয়ে যান। জিটিএ-র পর্যটন বিভাগের সদস্য দাওয়া লেপচা বলেন, “আমরা সদর্থক মনোভাব নিয়েই পদক্ষেপ করতে চাই। আশা করছি, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চান আলতামাস। বাইপাসের জমি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আর কোনও বৈঠক করতে চান না তাঁরা, এ বার বৈঠক করলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই করবেন। বাইপাস নিয়ে বৈঠক থেকে বয়কট করার পরদিনই এই মন্তব্য করেন রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীর ভাইপো তথা ইসলামপুরের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসের আন্দোলনের সভাপতি আলতামাস চৌধুরী। তিনি বলেন, “আর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে চাই না আমরা। বাইপাসের জমির বিষয়ে এক মাস অপেক্ষা করব। এর মধ্যে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী যদি কোন বৈঠক করে আশ্বাস দেন, তা হলেই জমি ছাড়া হবে। না হলে জমিতে চাষ করবেন কৃষকেরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy