Advertisement
E-Paper

জলা বোজানো রুখতে বৈঠক শহরে

জলাজমি ভরাট রুখতে পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলির সঙ্গে এ বার হাত মেলাল ব্যবসায়ী সংগঠন এবং বাসিন্দারাও। আলিপুরদুয়ার শহরে ক্রমাগত জলাশয় ভরাট হয়ে চলেছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পুকুর বুজিয়ে দেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৯:০০

জলাজমি ভরাট রুখতে পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলির সঙ্গে এ বার হাত মেলাল ব্যবসায়ী সংগঠন এবং বাসিন্দারাও।
আলিপুরদুয়ার শহরে ক্রমাগত জলাশয় ভরাট হয়ে চলেছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পুকুর বুজিয়ে দেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। সংগঠনগুলির দাবি, জলা ভরাটের অভিযোগ তোলার জন্য হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে তাদের। এ দিন রবিবার সকালে আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। জলাভূমি ভরাট এবং এ শহরে প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগের যথেচ্ছ ব্যবহার আটকাতে নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। বৈঠকেই পরিবেশ প্রেমী সংগঠনগুলির সঙ্গে যৌথ ভাবে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক নিখিল নির্মল বলেন, “জলাভূমি ভারাটের অভিযোগ পাওয়ার পরে নানা ক্ষেত্রে ভরাটের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন লিখিত ভাবে কোথায় জলা ভরাটের কাজ হচ্ছে জানালে ভূমি রাজস্ব দফতরের মাধ্যমে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিবাদ করলে যদি কাউকে হুমকি দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বর্ষা কালে নদীর জল বাড়লে শহরের জল নিকাশির স্লুইস গেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক সময়ে শহরের অধিকাংশ জলাভূমিতে বর্ষার জল জমা হত। ক্রমাগত জলা ভরাট হওয়ায়, ফি বর্ষায় শহরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের ল্যারি বসু বলেন, “শহরের ২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু জায়গায় জলা ভরাট হচ্ছে। বিষয়গুলি মহকুমা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে এ দিন বিশদ আলোচনা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার উন্নয়ন কমিটি নামে এক সংগঠন তৈরি করে আন্দোলন, প্রচার চালানো হবে।” টাউন ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক পরিতোষ দাস বলেছেন, “আমরা শীঘ্র তথ্য জানার অধিকার আইনে শহরে কত জলাভূমি রয়েছে, কতটা দখল হয়েছে ও প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চাইব।” চেম্বার অফ কর্মাস অ্যন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্রথমে কিছু ওয়ার্ড চিহ্নিত করে জলাভূমি ভরাট বন্ধ ও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হবে।” নাট্য কর্মী পরিতোষ সাহা বলেন, “জলাভূমি ভরাটের পর কীভাবে সেখনে প্রশাসন নির্মাণ কাজ করতে দিচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। আমরাও এই আন্দোলনে রয়েছি।” আর নেচার ক্লাবের সম্পাদক অমল দত্তের কথায়, “সব সংগঠন একসঙ্গে আন্দোলন শুরু করব।”
এ দিন বৈঠকের পর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি এলাকায় ঘুরে দেখেন সদ্যগঠিত কমিটির সদস্যরা। সেখানে একটি বড় জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। জমির মালিকেরা অবশ্য এ দ দাবি করেছেন, জমির মালিকানার নথি তাঁদের কাছে রয়েছে। যে জমি ভরাট হয়েছে, সেটি চরিত্রগত ভাবে জলাভূমি নয়। আদতে সেটি নিচু জমি।

awareness water bodies blockade alipurduar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy