Advertisement
১৯ মে ২০২৪

টাকা না ফেরানোয় ৬ মাসের কারাদণ্ড রয়্যাল-কর্ত্রীর

আমানতকারীর টাকা ফেরানোর নির্দেশ না মানায় অর্থলগ্নি সংস্থা রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর অর্চনা সরকারকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিল কোচবিহার জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। মঙ্গলবার কোচবিহার জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সভাপতি বিশ্বনাথ কোনার ও সদস্য রুনা গঙ্গোপাধ্যায় ওই রায় দিয়েছেন। আদালত সূত্রের খবর, আশির দশকে ওই জেলা আদালত চালু হয়। সেখানে এদিন প্রথম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০৮
Share: Save:

আমানতকারীর টাকা ফেরানোর নির্দেশ না মানায় অর্থলগ্নি সংস্থা রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর অর্চনা সরকারকে ছ’মাসের কারাদণ্ড দিল কোচবিহার জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। মঙ্গলবার কোচবিহার জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সভাপতি বিশ্বনাথ কোনার ও সদস্য রুনা গঙ্গোপাধ্যায় ওই রায় দিয়েছেন। আদালত সূত্রের খবর, আশির দশকে ওই জেলা আদালত চালু হয়। সেখানে এদিন প্রথম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল।

আদালত সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরের হাজরাপাড়া এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিমাকর্মী বিনয়শঙ্কর চৌধুরী ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর ওই লগ্নি সংস্থার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। তিনি ওই সংস্থায় ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা রেখেছিলেন। কিন্তু তা ফেরত না পাওয়ায় অর্চনা সরকার, তাঁর বোন তথা সংস্থার অন্যতম ম্যানেজিং ডিরেক্টর নীলিমা দে ও সংস্থার বিরুদ্ধে ‘আনফেয়ার ট্রেড প্র্যাকটিসে’র অভিযোগ আনেন।

তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত মামলার খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা-সহ ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ও তার ১০ শতাংশ সুদ মেটানোর নির্দেশ দেয়। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালত ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয়।

কিন্তু তার পরেও টাকা মেটানো নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে ফের ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ওই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

এ দিন কোচবিহার জেলে বিচারাধীন বন্দি অর্চনা সরকারকে পুলিশ পাহারায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে হাজির করানো হয়। টাকা ফেরত দিতে পারবেন না বলে আদালতে জানিয়ে দেন তিনি। তার পরেই ছয় মাসের কারাদণ্ডের ওই নির্দেশ দেয় আদালত।

অর্চনাদেবীর বোন নীলিমা দে অন্য একটি মামলায় জেলার বাইরে থাকায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে তাঁকে আদালতে তোলা হবে। ওই মামলায় অভিযোগকারী বিনয়শঙ্কর চৌধুরীর আইনজীবী গণেশচন্দ্র রায় কর্মকার বলেন, “কোচবিহার তো বটেই, রাজ্যের কোনও ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের ক্ষেত্রেও কারাদণ্ডের ওই নির্দেশ রীতিমতো নজিরবিহীন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

6 month jail money laundering cooch behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE