Advertisement
E-Paper

টোটোপাড়ায় বাংলাদেশি দল, অস্বস্তি প্রশাসনে

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একটি সরকারি সংস্থার অফিসার তথা পর্যটক দল টোটো পাড়ায় গিয়ে টোটোদের সঙ্গে ২ ঘণ্টা কাটালেন। তাঁরা শুনলেন তাঁদের দিনযাপনের নানা কাহিনি। টোটোরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করে দেখালেন তাঁদের। সোমবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা বাংলাদেশের ওই পর্যটকেরা টোটোপাড়ায় ছিলেন।

নিলয় দাস

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৪ ০১:৩১
সোমবার জলপাইগুড়ির টোটোপাড়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

সোমবার জলপাইগুড়ির টোটোপাড়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একটি সরকারি সংস্থার অফিসার তথা পর্যটক দল টোটো পাড়ায় গিয়ে টোটোদের সঙ্গে ২ ঘণ্টা কাটালেন। তাঁরা শুনলেন তাঁদের দিনযাপনের নানা কাহিনি। টোটোরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করে দেখালেন তাঁদের। সোমবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা বাংলাদেশের ওই পর্যটকেরা টোটোপাড়ায় ছিলেন। তাঁরা টোটোরা কত টাকা সরকারি সাহায্য পান, কেন সেখানকার রাস্তাঘাট এত খারাপ সহ নানা সমস্যার ব্যাপারে প্রশ্ন করে তথ্য সংগ্রহ করেন বলে টোটোরা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, টোটো সম্প্রদায়ের তিন জন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণের হাতে ৫০০ টাকা করে তুলে দেন বাংলাদেশের ওই পর্যটকেরা। যে ট্যুর অপারেটর সংস্থা পর্যটক দলটিকে নিয়ে যায়, তারা দাবি করে, পুলিশকে বলে প্রাচীন জনজাতি নিয়ে গবেষণায় যুক্তরা টোটোপাড়ায় গিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। কোনও সমীক্ষা করেননি বলে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে টোটোপাড়ার মতো দুর্গম এলাকায় পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার আগে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়নি কেন তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে।

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার বলেন, “আমাদের কেউ কিছু জানাননি। ঠিক কী ভাবে, কী ঘটেছে খোঁজ নিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালও দাবি করেন, তাঁরও কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, “বিশদে খোঁজ নিচ্ছি।” জেলা ও রাজ্য গোয়েন্দা দফতর পৃথক তদন্তে নেমেছে। কারণ, বাংলাদেশের সরকারি অফিসারদের দল পর্যটক হিসেবেও টোটোপাড়ার মতো দূর্গম এলাকায় গেলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা জরুরি।

যদিও বাংলাদেশের ওই পর্যটকদের মুখপাত্র বাসুদেব আচার্য বলেছেন, “আমরা প্রাচীন জনজাতির জীবনযাত্রা সম্পর্কে গবেষণার সুবাদেই ঘোরাফেরা করি। এখানে টোটোপাড়ায় সে জন্য গিয়েছিলাম। টোটোদের জন্য সরকার ঘর তৈরি করেছে। তাদের শিক্ষার আমূল পরিবর্তন এসেছে। জীবন যাত্রার মান উন্নতি হয়েছে। এই উন্নতি কী ভাবে হল তা জানতে আমরা এখানে এসেছি।” তা হলে ‘টোটোরা কত টাকা সরকারি সাহায্য পান? রাস্তা খারাপ কেন, কী কী ধরনের সমস্যা আছে?’ এমন প্রশ্ন কেন করা হয়েছে সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না টোটোদের অনেকেই। এলাকার বাসিন্দা ধনীরাম টোটো বলেন, “ট্যুর অপারেটর সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়। সে জন্য তৈরি ছিলাম। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখানো হয়। ওঁরা অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করেন। আমরা খোলা মনে উত্তর দিয়েছি। আর কী বলব!”

‘লিঙ্ক’ খারাপ, স্টেশনে বিক্ষোভ হলদিবাড়িতে পাঁচ দিন ধরে হলদিবাড়ি স্টেশনের কম্পিউটার চালিত কেন্দ্র থেকে টিকিট কাটা যাচ্ছে না। সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত সব রকম টিকিট বিক্রি হচ্ছে হাতে লিখে। হলদিবাড়ি স্টেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, ইন্টারনেট পরিষেবা বেহাল। সে জন্য কম্পিটারচালিত টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে। সোমবার যাত্রীদের তরফে স্টেশনে বিক্ষোভও দেখানো হয়। রেলের টেলিকম বিভাগের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লিঙ্ক খারাপ থাকার বিষয়টি হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে জানানো হয়েছিল। বিএসএনএলকে তাদের পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি ভাল করে দেখে নিতে বলা হয়েছে।” বিএসএনএলের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ্ত রায় বলেন, “হলদিবাড়ি স্টেশনে কী হয়েছে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হলদিবাড়িতে টিকিট সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। সোমবার টিকিট সংরক্ষণ করতে এসে ক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। পুর চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ জানান, তিনি বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

totopara nilay das bangladeshi representative
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy