বহিরাগতকে সহকারী হিসাবে ওটিতে ঢোকানোর অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত ১৪ মে ওই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর ১০ দিনে তদন্ত করে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন হাসপাতাল সুপার। রোগীর পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেছিলেন, চিকিৎসকের কাছ থেকে ফোন নম্বর পেয়ে বহিরাগত যুবকের সঙ্গে কথা বলে অস্ত্রোপচারে সরঞ্জাম কিনেছিলেন তাঁরা। ওই যুবক ৫ হাজার টাকা দামের সরঞ্জাম ১৭ হাজার টাকায় রোগিণীর লোকদের কাছে বিক্রি করায় প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছিল। ওটি থেকে তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এর পরেও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত রিপোর্টই তৈরি করতে পারেনি।
হাসপাতালের সুপার অমরেন্দ্র সরকার বলেন, “তদন্ত রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষের দিকে বলে জানতে পেরেছি। দুই এক দিনেই রিপোর্ট হাতে পাব। তার পরে সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে সরব হয়েছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। গত শনিবার অন্তত ৫ টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে স্মারকলিপি দিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা পীযূষকান্তি রায় বলেন, “হাসপাতাল সুপার আমাদের জানিয়েছিলেন ২৮ মে’র মধ্যে তদন্তের ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত জানাবেন। এখন বলছেন মঙ্গল, বুধবার হয়তো এ ব্যাপারে তিনি তথ্য দিতে পারবেন। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বড় ধরনের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” অভিযুক্ত চিকিৎসক ঘটনার পর স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়েছিলেন। পরে তিনিও ফিরে এসে হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন। রিপোর্ট শীঘ্রই সুপারের হাতে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy