ভাওয়াইয়া উত্সবের উদ্বোধন করেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিত্ রায়। রয়েছেন অজয় চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।
নায়েব আলির (টেপু) জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দুই বাংলার খ্যাতনামা শিল্পীদের নিয়ে শুরু হচ্ছে ভাওয়াইয়া উত্সব। আগের মতো দু’দিন নয়, এ বার তা হবে তিন দিন ধরে। বৃহস্পতিবার বড়দিনে ভাওয়াইয়া উত্সবের উদ্বোধন করেন পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিত্ রায়।
কোচবিহার ১ ব্লকের মোয়ামারি তত্ত্বনাথ বিদ্যাপীঠে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্সব চলবে। সব মিলিয়ে দুই শতাধিক শিল্পী ওই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন। আয়োজক কমিটির সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, ওই তালিকায় বাংলাদেশের রুকসানা আখতার রূপসা, অনিমা মুক্তি গোমেজ, ভূপতিভূষণ বর্মা, অসমের ললিতা অধিকারী, ললিত রায় ও হামিদা সরকার প্রমুখের নাম রয়েছে।
এ পার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে থাকছেন পুষ্পিতা মণ্ডল, আবদুল হানিফ, তুলসী সরকার প্রমুখ। উদযাপন কমিটি ওই উত্সবের আয়োজন করছে। কোচবিহারে ওই উত্সব কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের পূর্ত পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “খ্যাতনামা ওই শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ভাওয়াইয়ার প্রসারের ভাবনা থেকে ফি বছর দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান করা হতো। এ বার বাসিন্দাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভাওয়াইয়া উত্সব তিনদিনের হচ্ছে। দুই বাংলা, অসমের দুই শতাধিক শিল্পী উত্সবে অংশগ্রহণ করছেন। এ ছাড়াও একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
কমিটি সূত্রের খবর, উত্সবের অঙ্গ হিসেবে নায়েব আলির বেশ কিছু রেকর্ড করা গানের সংকলন নিয়ে সিডি প্রকাশ, শিল্পীর জন্মস্থান বলরামপুরে নায়েব আলির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণ প্রভৃতি রয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন, বলরামপুরে ১৬ বিঘা জমির ওপর কমিউনিটি হল, সংগ্রহশালা, ভাওয়াইয়া শিল্পীদের জীবনপঞ্জী সম্বলিত প্রদর্শনীর বন্দোবস্ত করার মত নানা বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রজিত্ রায় বলেন, “ভাওয়াইয়ার প্রতি টান দক্ষিণবঙ্গেও রয়েছে। উত্সবের ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে কোচবিহারে পর্যটক টানার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy