Advertisement
১৮ মে ২০২৪

দখল উচ্ছেদে প্রতিরোধের মুখে এসজেডিএ

উড়ালপুলের নীচে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে বিজেপি এবং সিপিএমের যৌথ প্রতিরোধের মুখে পড়তে হল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত এ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় শিলিগুড়ি মহাবীর স্থান সংলগ্ন রেলগেট বাজার এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

মহাবীরস্থান উড়ালপুলের নীচে দখলমুক্ত করতে গেলে রাসতা আটকে বসে পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিজেপি কর্মীরা। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক

মহাবীরস্থান উড়ালপুলের নীচে দখলমুক্ত করতে গেলে রাসতা আটকে বসে পড়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিজেপি কর্মীরা। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ০২:২৭
Share: Save:

উড়ালপুলের নীচে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে বিজেপি এবং সিপিএমের যৌথ প্রতিরোধের মুখে পড়তে হল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত এ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে এই ঘটনায় শিলিগুড়ি মহাবীর স্থান সংলগ্ন রেলগেট বাজার এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীদের প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে আবেদন নিবেদন করে কোনও ফল হয়নি। এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ বাহিনী ও শিলিগুড়ি পুরসভার সঙ্গে যৌথ ভাবে দখল উচ্ছেদে নামে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতিরোধ-বিক্ষোভে যোগ দিতে স্থানীয় বিজেপি ও সিপিএম নেতৃত্বও হাজির হয়। প্রতিরোধে সামিল হন মহাবীরস্থান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতিও।

বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক বাপি পাল উচ্ছেদের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “আমরা এই ভাবে বিনা নোটিসে উচ্ছেদের বিরোধী। যাদের উচ্ছেদ করা হবে তাদের প্রত্যেককে পুনর্বাসন দিতে হবে। অন্যথায় এক জনকেও উচ্ছেদ করতে দেব না। এর পরেও উচ্ছেদের চেষ্টা করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সমর্থনে এ দিন পথে নামেন সিপিএমের দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী তথা সিটুর জেলা সম্পাদক সমন পাঠকও। তিনিও সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, “এই ব্যবসায়ীরা উড়ালপুলের নীচে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে দোকান বানিয়ে ব্যবসা করছে। এ ভাবে তাঁদের উচ্ছেদ করা হলে তাঁরা অনাহারে মারা যাবেন। তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থা হোক।”

শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আর বিমলা অবশ্য নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাইকে ঘোষণাও করে দেওয়া হয় অবৈধ দোকানগুলি ভেঙে দেওয়া হবে বলে। যদিও পুরোনোগুলি নয়, নতুন নির্মিত কয়েকটি দোকান ভাঙার পরিকল্পনা ছিল এসজেডিএর বলে মনে করছেন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক। তিনি বলেন, “এক সপ্তাহ আগেই নোটিশ দেওয়া হয়। তা সত্বেও কেন তাঁরা আপত্তি করছেন তা বুঝতে পারছি না। এরপরে উচ্ছেদ হবে কিনা এ বিষয়ে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।” মহাবীরস্থান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দিলীপ সাহা বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

sjda siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE