Advertisement
E-Paper

নাম না করে মন্ত্রীর সমালোচনায় বিধায়ক

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের পাড়ায় গিয়ে নাম না করে তাঁর সমালোচনা করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। নিজের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৫১ জোড়া ডেস্ক-বেঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন বিধায়ক রুদ্রবাবু। শুক্রবার স্কুলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিধায়ক তহবিলের তৈরি ডেস্ক-বেঞ্চগুলিকে কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৯

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের পাড়ায় গিয়ে নাম না করে তাঁর সমালোচনা করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। নিজের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৫১ জোড়া ডেস্ক-বেঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন বিধায়ক রুদ্রবাবু। শুক্রবার স্কুলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিধায়ক তহবিলের তৈরি ডেস্ক-বেঞ্চগুলিকে কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়। এ দিন স্কুলের অনুষ্ঠানে রুদ্রবাবু বলেন, “বিধায়ক হিসেবে আমি স্বীকার করে নিতে চাই শিলিগুড়ির অনেক স্কুলে বেঞ্চ সহ নানা পরিকাঠামো এখনও নেই। হাকিমপাড়ার স্কুলে প্রয়োজন মতো বেঞ্চ নেই শুনে বিধায়ক হিসেবে আমি লজ্জিত হয়েছিলাম।”

মন্ত্রী গৌতমবাবুর বাড়ি ওই স্কুলের অদূরে কলেজপাড়ায়। স্কুলের একদিকে হাকিমপাড়া। অন্যদিকে কলেজপাড়ায়। কলেজপাড়া তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গৌতমবাবু। সে কারণে এ দিন ওই স্কুলের পরিকাঠামো প্রসঙ্গে বিধায়কের মন্তব্য মন্ত্রীকে লক্ষ্য করেও বলেও অনেকে মনে করেছেন। সেখানেই বক্তব্য রাখার সময়ে, কোনও অনুষ্ঠানের জন্য স্কুল ছুটি না দেওয়া নিয়ে বিধায়কের মন্তব্য ঘিরেও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

এ দিন হাকিমপাড়ার স্কুলের বারন্দাতেই মাইক বেঁধে মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। দুপুর ১টার কিছু পরে বিধায়ক স্কুলে পৌঁছনোর পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তার আগে পর্যন্ত স্কুলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন চলেছে। নতুন বেঞ্চি সহ একটি ক্লাসঘরের উদ্বোধন করেন বিধায়ক। বক্তব্যে বিধায়ক রুদ্রবাবু বলেন, “অনুষ্ঠানের আগেই আমি দিদিমণিদের বলেছিলাম, সংবাদমাধ্যম বরাবরই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেক গাফিলতি তুলে ধরে। বিগত দিনে যদি কোনও স্কুলে এ ধরণের অনুষ্ঠানের জন্য ছুটি দেওয়া হয় তা অবাঞ্ছিত। আমি শুনে খুশি হয়েছি, আজকে সকালে ক্লাস হয়েছে, অনুষ্ঠানের পরেও ক্লাস হবে।” বক্তব্যের শেষেও অভিভাবকদের উদ্দেশে বিধায়ক বলেন, “সকলে ক্লাস করেই বাড়ি যাবে। তাতে ওরা বুঝবে স্কুলে ক্লাসও হয়, অনুষ্ঠানও হয়।”

বিধায়কের এই বক্তব্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। মন্ত্রীর নাম না করে গত মঙ্গলবারের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বিধায়ক দুই ঘটনার ফারাক বোঝানোর চেষ্টা করলেন বলে তৃণমূলের অনেকে মনে করছেন। কারণ, গত মঙ্গলবারই মন্ত্রী গৌতম দেবের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দে তিনটি স্কুলে সীমানা পাঁচিল সাইকেল স্ট্যান্ডের উদ্বোধন হয়। তিন স্কুলের অনুষ্ঠানেই মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনটি স্কুলই অনুষ্ঠানের জন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও, মন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতমবাবু এ দিন বলেন, “নীতিগত ভাবে স্কুল ছুটির বিষয়ে বিধায়কের সঙ্গে আমিও একমত। মুখ্যমন্ত্রীও চান না কর্মদিবস নষ্ট হোক। তবে স্কুল ছুটি দেওয়া বা না দেওয়া সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিষয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশিক্ষণ ধরে চললে, হয়ত ক্লাস নাও হতে পারে। পড়াশোনার সঙ্গে কৃষ্টিরও প্রয়োজন রয়েছে।” সেই সঙ্গে মন্ত্রীর দাবি, “গত মঙ্গলবারে আমি যে ক’টি স্কুলে গিয়েছিলাম, তার সব ক’টিতেই প্রথমে ক্লাস হয়েছে, পরে অনুষ্ঠান হয়েছে।”

এ দিন বিধায়কের আরও একটি মন্তব্য ঘিরেও চর্চা শুরু হয়েছে শাসক দলের অন্দরে। শিলিগুড়ি পুর এলাকার বস্তি এলাকায় পানীয় জল, বস্তির স্কুলগুলিতে বেঞ্চি, মেয়েদের শৌচাগারের মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি বলে বিধায়ক এ দিন স্কুলের অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন। পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিধায়কের অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, “নানা স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব তো রয়েইছে। সকলে মিলে তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। দিনের শেষে মানুষ বিচার করবেন, কে কতটা করতে পেরেছি। আত্মসমালোচনা ভাল, তবে সেটা সদুদ্দেশ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।”

কৃষি মেলা। ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভলপমেন্টের (নাবার্ড) আর্থিক সহযোগিতায় রামসাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে শুরু হল তিন দিনের কৃষি মেলা রামসাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র চত্বরে মেলা চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিন মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাস, নাবার্ডের জলপাইগুড়ি জেলা ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার গণেশচন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।

siliguri gautam deb
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy