Advertisement
E-Paper

পাচার রুখতে পুলিশের ভূমিকা বদলের দাবি

গত এক বছরে নানা সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছেন আটজন কিশোরী ও তরুণী। এখনও তাদের কারও হদিস করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার দার্জিলিং জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় ওই তথ্য পেশ করেন দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৪ ০০:৪৫

গত এক বছরে নানা সময়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছেন আটজন কিশোরী ও তরুণী। এখনও তাদের কারও হদিস করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার দার্জিলিং জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় ওই তথ্য পেশ করেন দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। ক্রমবর্ধমান নারী পাচারের ঘটনায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। আইনি পরিষেবা সমিতি ছাড়াও চাইল্ড ইন নিড ইন্সটিটিউট (সিনি), কাঞ্চনজঙ্ঘা উদ্ধার কেন্দ্র, কিশোর বাহিনী, দার্জিলিং মেরি ওয়ার্ল্ড সোসাইটি, ফ্যামিলি কাউন্সেলিং সেন্টারের প্রতিনিধিরাও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। এই আলোচনা সভায় শিলিগুড়ি থানার পুলিশকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে তাঁরা কোনও প্রতিনিধি পাঠাননি।

নিখোঁজ কিশোরী ও তরুণীদের উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন সময়ে পুলিশের পাশাপাশি এই সমস্ত সংস্থারও দ্বারস্থ হয় তাদের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এর মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারী পাচার রোধে কাজ করা সংগঠনগুলিও উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সমস্ত দিক বিবেচনা করে পুলিশের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা আইনি পরিষেবা সমিতির সম্পাদক অমিত সরকার বলেন, “বৈঠকে বেশ কয়েকটি দাবি উঠে এসেছে। আমরা তা লিখিতভাবে প্রতিটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের কাছে পাঠাব।”

এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির প্রতিটি থানায় ‘পাচার বিরোধী বিভাগ’ খোলার উপরে। এছাড়া প্রতিটি থানায় হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য আলাদা করে ‘স্কোয়াড’ তৈরিরও দাবি জানানো হবে পুলিশ কর্তাদের কাছে। সিনির উত্তরবঙ্গের কো-অর্ডিনেটর শেখর রায় জানান, এই কমিটিগুলো তৈরির ব্যপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। সব জায়গায় এখনও তা কাযর্কর হয়নি। সেই জায়গাগুলোতে পুলিশকে জোর দেওয়ার ব্যাপারে বলা হবে। এই পাচার বিরোধী কমিটিতে প্রতিটি থানার আধিকারিক, আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষেরা থাকতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,“ দাবিগুলি হাতে পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

খোঁজ মেলেনি

জুন ২০১৩ থেকে নিখোঁজ ডায়না চা বাগানের এক কিশোরী।

শিলিগুড়ির বিধাননগরের তরুণীকে অপহরণের নালিশ। অগস্ট ’১৩।

নভেম্বর ২০১৩ থেকে নিখোঁজ নাগরাকাটার এক তরুণী।

ফেব্রুয়ারি ২০১৪ থেকে নিখোঁজ দার্জিলিং মোড়ের কিশোরী।

মে ২০১৪ থেকে নিখোঁজ প্রধাননগরের কিশোরী।

জুলাই ২০১৪ থেকে নিখোঁজ শিলিগুড়ির রথখোলার কিশোরী

smuggling police siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy