Advertisement
E-Paper

পুর-কলে সরু জল কোচবিহার শহরে

গরমের আঁচ লাগতেই পানীয় জলের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে কোচবিহার শহরে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলের গতি এত শ্লথ যে এক বালতি জল ভরতে আধ ঘণ্টা সময় চলে যাচ্ছে। অথচ, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে এক বছর আগে কোচবিহার পুরসভা এলাকায় জল প্রকল্পে ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ শুরু হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৯:০৪

গরমের আঁচ লাগতেই পানীয় জলের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে কোচবিহার শহরে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলের গতি এত শ্লথ যে এক বালতি জল ভরতে আধ ঘণ্টা সময় চলে যাচ্ছে। অথচ, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে এক বছর আগে কোচবিহার পুরসভা এলাকায় জল প্রকল্পে ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কাজ শুরু হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধীরা।

কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু বলেন, “তোর্সার জল পরিস্রুত করে পানীয় হিসাবে সরবরাহ করার প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৬ কোটি টাকা দিয়েছে। ই-টেন্ডার-এর মাধ্যমে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আমরা তাড়াহুড়ো করতে চাই না। সমস্ত কিছু দেখে কাজ হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করা হলে শহরে পানীয় জল নিয়ে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।”

তবে পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহার অভিযোগ, “প্রকল্প নিয়ে গড়িমসি করছে পুরসভা। শহর জুড়ে জলের সমস্যা চলছে। পুর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বাম সরকার থাকার সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পে বরাদ্দ পায়। পুরসভা কাজ শুরু করতে পারেনি। পুর কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ।

কোচবিহার শহরে ২০ টি ওয়ার্ডে ১৫ হাজারের বেশি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে। শহরে জল সরবরাহে ৪ টি জলাধার রয়েছে। ২২টি পাম্প হাউস এবং প্রায় ১৫০টি স্ট্যান্ড পোস্ট রয়েছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই এলাকায় একটি জলাধার নির্মাণের কাজ শুরু করার পর থেকে তা বন্ধ হয়ে রয়েছে।

এলাকার কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা মহানন্দাবাবু বলেন, “এই জলাধারের কাজ শেষ হলে অন্তত ছয়টি ওয়ার্ডের মানুষের উপকার হবে। শুধু বিরোধী দলের ওয়ার্ড বলে এখানে কোনও কাজ করা হচ্ছে না।” ১৩, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলের গতি শ্লথ। স্ট্যান্ড পোস্ট দিয়ে জল পড়ে না ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে লাইন ফুটো করে জল নেন বাসিন্দারা। পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন আমিনা আহমেদ বলেন, “সবাইকে জল দিতে পুরসভা সচেষ্ট। নতুন প্রকল্প হলে সমস্যা থাকবে না।”

এক নজরে

জনসংখ্যা ১ লক্ষ

জলাধার ৪টি

পাম্প হাউস ২২টি

স্ট্যান্ডপোস্ট ১৫০টির বেশি

water supply coochbihar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy