Advertisement
E-Paper

প্রধানশিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত, বিতর্ক চাঁচলে

স্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে পরিচালন সমিতি প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মালদহের চাঁচলের বীরস্থল হাইস্কুলের ঘটনা। এক সপ্তাহ আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূলের পরিচালন সমিতি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৪ ০৩:০৩

স্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষিকার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে পরিচালন সমিতি প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মালদহের চাঁচলের বীরস্থল হাইস্কুলের ঘটনা। এক সপ্তাহ আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূলের পরিচালন সমিতি। পরিচালন সমিতির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাঁকে চক্রান্ত করে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই শিক্ষা সেলের সদস্য ওই প্রধান শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়টি জানার পরে স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সাহা। তৃণমূল পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক মহলের একাংশ। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিস চৌধুরী শুধু বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সব জানানো হয়েছে।”

স্কুল ও জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক পদে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আবেদ হোসেন। মালেক হোসেন নামে এক শিক্ষক ও তাঁর পার্শ্বশিক্ষিকা স্ত্রীর সঙ্গে প্রধান শিক্ষক বাজে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ। ওই পার্শ্বশিক্ষিকাকে দিয়ে ক্লাস করানো সহ চাইল্ড ট্র্যাকিং করানো হত। প্রতিবাদ করলে হেনস্থা করা হত বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সভা ডাকা হলেও প্রধান শিক্ষক সভায় হাজির হননি বলে অভিযোগ। এর পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

কিন্তু শোকজ ছাড়াই তাকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সাসপেন্ড করাই নয়, পরিচালন সমিতির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের দাবি, “সম্পাদক তথা ওই তৃণমূল নেতা স্কুলের পরিচালন সমিতির দাতা সদস্য। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে কেউ দাতা সদস্য হলে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু তার কোনও নথি সম্পাদক দেখাতে পারেননি। তাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। সমিতি আমাকে সাসপেন্ড করতে পারে না।” তিনি জানান, ওই শিক্ষক ও তার পার্শ্বশিক্ষিকা স্ত্রী ঠিক মতো ক্লাস করেন না। তিনি জানান, সে কথা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েওছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিচালন সমিতির সম্পাদক আবেদ হোসেন। তিনি বলেন, “বিপাকে পড়ে প্রধান শিক্ষক উল্টোপাল্টা অভিযোগ তুলছেন। নিয়ম মেনেই আমি দ্বিতীয় বার সম্পাদক হয়েছি। এতদিন তো উনি অভিযোগ তোলেননি। আর পর্ষদের নিয়ম মেনেই প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

স্কুল সূত্রের খবর, যে সভায় প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়, সেই সভায় শিক্ষক প্রতিনিধি হিসাবে মালেক হোসেন ছাড়া অন্য কোনও শিক্ষক প্রতিনিধি অবশ্য হাজির হননি। মালেকবাবু বলেন, “প্রধান শিক্ষক আমাকে ও আমার স্ত্রীকে দিনের পর দিন হেনস্থা, নির্যাতন করতেন। সব পরিচালন সমিতিকে জানিয়েছিলাম।”

ব্লক তৃণমূল নেতা মজিবর রহমান বলেন, “নিয়মবহির্ভূত কাজ দল বরদাস্ত করবে না। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যবস্থা নিয়েছে পরিচালন সমিতি। উনি ওই শিক্ষিকা যাতে কাজ ছেড়ে দেন, সেই চেষ্টাও করছিলেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি দেখছি।”

সাঁকো নিয়ে বিবাদ। মঙ্গলবার রাতে বাঁশের সাঁকো নিয়ে গোলমালকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল ইসলামপুরের ডাঙাপাড়া এলাকা। ঘটনায় রাজনীতির রংও লেগেছে। সিপিএম ও তৃণমূলের সদস্যরা একে অপরের উপর হামলার অভিযোগ তুলেছে। বাঁশের সাঁকোর টেন্ডার নিয়ে পুরানো বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বিবাদ বাধে। পরে একে অপরের উপর লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বোমাও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের ৩ জন জখম হন।

suspension of headmaster chanchal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy