পুজোর আর দেরি নেই। পুলিশ প্রশাসনের তরফে পুজোর প্রস্তুতিতে বৈঠক করা হয়েছে। অথচ শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে এখনও পুজোর প্রস্তুতির কোনও বালাই নেই। পুলিশের ডাকা বৈঠকে পুর কমিশনার এবং দফতরের আধিকারিকরা অংশও নিয়েছেন। কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে পুরসভার তরফে বাড়তি পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা, বিসর্জনের ঘাট প্রস্তুতি, বিসর্জন উত্তর নদী সাফাই করা, ছট পুজো নিয়ে এখনও কোনও বৈঠক করে উঠতে পারেনি পুর প্রশাসকরা। মে মাসের মাঝামাঝি মেয়র এবং তার পারিষদরা ইস্তফা দেন। তার পর থেকেই অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে পুরসভা। গত ১৮ অগস্ট তিন সদস্যের প্রশাসক বোর্ড পুরসভার দায়িত্ব নেয়। তার পরেও পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি বলে অভিযোগ।
পুজোর বিষয়টি নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ অন্যান্য দফতরগুলির আগেই সাধারণত প্রস্তুতি বৈঠক সেরে ফেলে। এ বার দেরি কেন? পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ‘কিপ শিলিগুড়ি ক্লিন’ বিষয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীরও থাকার কথা। প্রস্তুতি বৈঠক না হলেও পুজোর সাফাই পরিষেবা, ঘাট প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পনার কথা ভাবা হয়েছে। শীঘ্রই সে সব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” পুরসভা সূত্রেই জানানো হয়েছে, মহালয়ার আগের দিন পর্যন্ত ঘরদোর সাফসুতরো করতে বলা হয়েছে। সেই মতো আবর্জনা বাড়ির বাইরে জড়ো করলে পুরসভার সাফাইয়ের কাজে যুক্ত কর্মীরা তা পরিষ্কার করে দেবেন।
পুরসভার কর্মীদের একাংশ জানান, পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে আগাম বৈঠক করা জরুরি। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোথায় কত কর্মী কাজ করবেন, বিসর্জনের ঘাটে কর্মীদের কাজ দেখভালের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে সে সব কিছুই এখনও ঠিক হয়নি। তা ছাড়া পুজো মণ্ডপ চত্বরের আশেপাশে পুজোর দিনগুলিতে বাড়তি পরিষেবা দেওয়া হয়। সেই মতো কর্মীদের বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু বৈঠক করে সে সব কিছু ঠিক না করার পুরো বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। শেষ বেলায় তাড়াহুড়ো করে কাজে নামতে হবে বলেই কর্মী, আধিকারিকদের একাংশের ধারণা। বিসর্জনের দিন ঘাটে সাফাই কর্মীদের দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ। তার আগে পুরসভার তরফে ঘাট প্রস্তুত করা হয়। বিসর্জনের পরে প্রতিমার কাঠামো জল থেকে তুলে ফেলতে হয়। নদী সাফ করতে হয়। তাই আগে থেকে পরিকল্পনা না করলে সে সব কাজ সুষ্ঠু ভাবে করার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy