তরাই এবং ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের বেতনের ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ঝুলে রইল পাহাড়ের ৮৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের পুজোর বোনাসের বিষয়টি।
সোমবার দার্জিলিঙের বাগানগুলির শ্রমিকদের বোনাসের বিষয়টি নিয়ে দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন (ডিটিএ) এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলির বৈঠক হয় ডিটিএ-র কার্যালয়ে। তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি।
পাহাড়ের চা বাগানগুলির মালিকপক্ষের বৃহত্তর সংগঠন ডিটিএ-র তরফে জানা গিয়েছে, উৎপাদন মার খাওয়ায় এ বছর ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে অনেক বাগান মালিকদের। চায়ের ব্যবসা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ও রয়েছে। তাই তাঁরা সব বাগানের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে পুজোর বোনাস দিতে পারবেন না। ডিটিএ’র প্রধান উপদেষ্টা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “গত বছরের মতো এ বছরও সব বাগানে আমরা ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে পারব না। বাগানগুলির একাংশে উৎপাদন মার খেয়েছে। রফতানিতে খামতি রয়েছে। চায়ের দাম কমেছে। খারাপ আবহাওয়ায় চায়ের উৎপাদন মার খেয়েছে। বৈঠকে বোনাসের যে হার আমরা প্রস্তাব করি, শ্রমিক সংগঠনগুলি তা মানেনি।”
পাহাড়ে ৮৭ টি চা বাগানের মধ্যে ৫৭টির মালিকপক্ষ ডিটিএ-র সঙ্গে যুক্ত। ৩টি বাগান রাজ্য চা উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে। বাকিগুলির মালিকেরা ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনে’র সঙ্গে যুক্ত। বাগানগুলিকে এ, বি, সি এবং ডি চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। বিভিন্ন মালিক সংগঠন সূত্রে খবর, তারা এ দিন প্রস্তাব দেয়, এ এবং বি-শ্রেণির বাগানগুলিতে বেতনের ২০ শতাংশ হারে বোনাস হবে। সি-শ্রেণির বাগানে তা ১৯ শতাংশ ও ডি-শ্রেণির বাগানে তা ১৮ শতাংশ হারে দেওয়া হবে। মোর্চা নিয়ন্ত্রিত দার্জিলিং-তরাই-ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুরজ সুব্বা বলেন, “সব বাগানের শ্রমিকদেরই ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা।”
এ দিন ৭ টি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দার্জিলিং হিল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি পি টি লরেন্স জানান, ২০ শতাংশের কমে বোনাস নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে উপস্থিত সমস্ত শ্রমিক সংগঠনগুলিই জানিয়েছে। তাই এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy