দ্রুত কর্পোরেশনে উন্নীত হবে জলপাইগুড়ি, এমন একটা ধারনা থেকেই পরিকাঠামো তৈরির কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রায় ২৫২ কোটি টাকার বাজেট পাশ হল কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভায়। বৃহস্পতিবার ২০১৪-২০১৫ সালের জন্য ওই বাজেট পেশ করা হয়। বিরোধী বামফ্রন্টের সদস্যরাও পুরসভার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্বাগত জানিয়ে বাজেট সমর্থন করেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেটে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে দূষণমুক্ত সবুজ শহর নির্মাণ এবং কর্পোরেশনের পরিকাঠামো তৈরির উপরে। যেমন, একাধিক শিশু উদ্যান তৈরির প্রকল্প রয়েছে। একই ভাবে নতুন সংযোজিত এলাকায় পানীয় জল, পথবাতির বসানোর প্রকল্প আছে। পুরসভা কর্পোরেশনে উন্নীত হলে প্রশাসনিক কাজের জন্য আরও অনেক ভবন প্রয়োজন হবে। তাই নতুন পুরভবন তৈরির প্রকল্প বাজেটে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ, শহরের বাইরে যে সমস্ত এলাকা পুরসভাভুক্ত হয়েছে সেখানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ, অত্যাধুনিক পথবাতি বসানো, সুলভ শৌচালয় তৈরি, সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাল নির্মাণ, এলাকার সমস্ত জলাশয়কে সংস্কার করে ঢেলে সাজানো, শহরের নিকাশি নালার জল শোধন করে করলা নদীতে ফেলার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি বিপণন ব্যবস্থাও গুরুত্ব পেয়েছে বাজেটে। বয়েলখানা বাজার, দিন বাজার সংস্কার এবং আধুনিক বাজার তৈরির গুচ্ছ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এক নজরে জলপাইগুড়ি পুরসভা। সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, “জলপাইগুড়ি পুরসভাকে কর্পোরেশন ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে অনেক দূর কথা এগিয়েছে। ওই কারণে অনেক দিক চিন্তা করে এবারের বাজেট তৈরি করা হয়েছে। তাই এ বার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরিকাঠামো তৈরির উপরে।”
পুর এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কথা এদিন পুর কর্তারা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁরা জানান, বেহাল রাস্তা মেরামতের জন্য ১৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পুরভবনে আয়োজিত বাজেট সভায় এদিন ২৫ জন সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৩ জন। তৃণমূলের এক মাত্র প্রতিনিধি পাপিয়া পাল বলেন, “কাগজে কলমে অনেক কিছু দেখছি। সেগুলি যেন বাস্তবায়িত হয় সেটা পুর কর্তাদের দেখতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy