Advertisement
০৩ মে ২০২৪

পরীক্ষা বাতিল নিয়ে লিখিত নির্দেশ না আসায় বিপাকে বিশ্ববিদ্যালয়

লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৫৭টি কলেজে পরীক্ষা পিছোনোর প্রস্তুতি নিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতর থেকে নির্বাচনের জন্য নানা কলেজের ভবন নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিঠি না-আসায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৫৭টি কলেজে পরীক্ষা পিছোনোর প্রস্তুতি নিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতর থেকে নির্বাচনের জন্য নানা কলেজের ভবন নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিঠি না-আসায় বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিলিগুড়ি ও দিনহাটা কলেজের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, লিখিত নির্দেশ না পাওয়ায় পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে বিপুল সংখ্যায় পরীক্ষার্থীরা রোজই নতুন পরীক্ষা সূচি জানতে চেয়ে ছোটাছুটি করছেন। শুক্রবার দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনিত যাদব বলেন, “উদ্বেগের কিছু নেই। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। চিঠিটি শীঘ্রই পাঠানো হবে।”

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৫৭টি কলেজে ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা। ভোট ঘোষণার পরে অনেক কলেজেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার হবে। পোলিং বুথ, স্ট্রং রুম, গণনার কাজও হবে কয়েক জায়গায়। সে জন্য পরীক্ষা পিছোতে হবে। তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সহ্গে যোগাযোগও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়াম বিভাগের এক অফিসার অভিযোগ করেন, বিষয়টি নিয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতরে যোগাযোগ করেও লিখিত নির্দেশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে সমস্যা হচ্ছে। ওই নির্দেস হাতে না পেলে নতুন করে পরীক্ষা সূচি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে ওই অপিসার জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সুশান্ত দাস বলেন, “ভোটের জন্য পরীক্ষা পিছোতে হবে। কিন্তু, কলেজগুলি ভোটগণনা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাজে লাগানো হবে কি না সেটা স্পষ্ট হওয়া দরকার। লিখিত নির্দেস পেলে তবেই আমরা নতুন পরীক্ষা সূচি তৈরি করতে পারব।”

কলেজে কলেজেও একই অভিযোগ। শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ মলয় করঞ্জাই অভিযোগ করেন, “দার্জিলিঙের জেলাশাসক একাধিকবার কলেজ পরিদর্শন করেছেন। আমরা শুনেছি নির্বাচনের জন্য কলেজ নেওয়া হবে। কিন্তু কোনও নির্দেশ পাইনি। ফলে কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। ” দিনহাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাধন কর জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় রিসিভিং সেন্টার তৈরি হবে। ফলে নির্বাচনের সাতদিন আগে থেকেই প্রশাসনের দখলে চলে যাবে কলেজ। পরীক্ষার সূচি বদলের কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী পরীক্ষার সূচি বদলের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

loksabha election uttarbanga university
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE