Advertisement
E-Paper

ফোনে আমন্ত্রণ, ক্ষোভে পদত্যাগ

আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। সোমবার বিকালে ইমেল করে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে সিটিস্ক্যান মেশিন উদ্বোধনের আমন্ত্রপত্রে বিধায়ক কিংবা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নাম ছাপা হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৪ ০২:২৫

আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। সোমবার বিকালে ইমেল করে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে সিটিস্ক্যান মেশিন উদ্বোধনের আমন্ত্রপত্রে বিধায়ক কিংবা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর নাম ছাপা হয়নি। ফোনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও কলকাতায় পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। ঘনিষ্ট মহলে অসম্মানিত হওয়ার কথা বলেন বিধায়ক। আগেও একাধিক অনুষ্ঠানে শাসক দলের কথা মতো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কংগ্রেস বিধায়ক তথা সমিতির চেয়ারম্যানকে অন্ধকারে রেখে অনুষ্ঠান করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরেই বিধায়কের ইস্তফা বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিন দেবপ্রসাদবাবু বলেছেন, “ইস্তফাপত্র যা লেখার লিখে দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে যা বলার সামনা সামনি বলব। এই নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা দেবী বলেছেন, “বিষয়টি জানি না। তবে আলিপুরদুয়ারের বিধায়কে রাজ্য সরকার যথাযথ সম্মান দেন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ার জেলা ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানান। তবে হাসপাতালের কী হয়েছে তা না জেনে কোনও রকম মন্তব্য করব না।”

হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ৫ জুলাই হাসপাতালে সিটিস্ক্যান মেশিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের নাম কার্ডে রাখা হয়নি। সেই অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, ফালাকাটার বিধায়ক অনিল অধিকারি, আলিপুর দুয়ার পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসেও শিশু ওয়ার্ড উদ্বোধন দেবপ্রসাদবাবুকে ডাকা হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের জেলার কয়েকজন অফিসার জানান, প্রতিটি অনুষ্ঠানের কার্ডে কাদের নাম থাকবে তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঠিক হয়েছিল। স্থানীয়স্তরে কিছু করা হয়নি।

দেবপ্রসাদবাবুর ঘনিষ্ট কয়েক জন কংগ্রেস নেতা জানান, জেলার শাসক দলের নেতাদের খুশি করতেই ওই সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দফতরের লোকজনকে বিধায়কের নাম বাদ রেখেছিল। তিনি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হলেও দেবপ্রসাদবাবুকে ইচ্ছাকৃত ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না। তাই তিনি ওই পদ ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের রাজ্যের সহ সভাপতি জহর মজুমদার বলেন, “উন্নয়নের কাজে রাজনীতি আমরা করি না। বিধায়কের নাম অনুষ্ঠানপত্রে না থাকায় আমরাই স্বাস্থ্য দফতরকে অফিসারদের বিষয়টি ঠিক করতে বলি। পরবর্তীতে আর তা হবে না বলে স্বাস্থ্য কর্তারা জানান।”

তবে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু গোটা বিষয়টি প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

resignation from post debprasad roy alipurduar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy