Advertisement
০২ মে ২০২৪

বিএসএল বেহাল, ক্ষুব্ধ চাঁচলবাসী

ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের সংখ্যা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজারে। আবার তার মধ্যে অধিকাংশই অকেজো হয়ে রয়েছে। আবার গত দু’সপ্তাহ ধরে কোথাও মাটির নিচে কেবলের তার কেটে, কোথাও অপটিক্যাল ফাইবারের তার কেটে বেহাল হয়ে পড়েছে মোবাইল ফোনের পরিষেবাও। কিন্তু ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের। ল্যান্ডলাইন ফোন হোক বা মোবাইল ফোন। সংস্কার করতে যে যন্ত্রাংশ জরুরি তা নেই কতৃপক্ষের কাছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২৯
Share: Save:

ল্যান্ডলাইন টেলিফোনের সংখ্যা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজারে। আবার তার মধ্যে অধিকাংশই অকেজো হয়ে রয়েছে। আবার গত দু’সপ্তাহ ধরে কোথাও মাটির নিচে কেবলের তার কেটে, কোথাও অপটিক্যাল ফাইবারের তার কেটে বেহাল হয়ে পড়েছে মোবাইল ফোনের পরিষেবাও। কিন্তু ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের। ল্যান্ডলাইন ফোন হোক বা মোবাইল ফোন। সংস্কার করতে যে যন্ত্রাংশ জরুরি তা নেই কতৃপক্ষের কাছে। বারবার চেয়েও তা না মেলায় মালদহ জেলা জুড়েই বিএনএনএলের মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন টেলিফোন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দিনের পর দিন ল্যান্ডলাইন ফোন অকেজো হয়ে রয়েছে। দু’সপ্তাহেও মোবাইল ফোম পরিষেবা স্বাভাবিক স্বাভাবিক না হওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যন্ত্রাংশ না থাকায় তারা যে অসহায় সেই কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন দফতরের কর্তারা। দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে সেই জন্য তারা লাগাতার তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

মালদহের জেলা টেলিকম আধিকারিক(টিডিএম) সিদ্দিক হোসেন বলেন, “জেলার বেশ কিছু এলাকায় সমস্যা রয়েছে। কিন্তু সরঞ্জাম পেতে সমস্যা হচ্ছে। কলকাতায় চিফ জেনারেল ম্যানেজার(সিজেএম) অফিসে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু কলকাতাও সরঞ্জাম পাচ্ছে না বলে ওরা জানিয়েছেন। যাতে সমস্যা মেটে তা আমরাও দেখছি।”

বিএসএনএল সূত্রেই জানা গিয়েছে, ল্যান্ডলাইন ফোনের সংখ্যা অর্ধেকেরও কমে এসে দাঁড়িয়েছে। জেলায় আপাতত ১২ হাজার ল্যান্ডলাইন গ্রাহক রয়েছেন। তার মধ্যেও অধিকাংশই আপাতত অকেজো হয়ে রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষনের সরঞ্জাম না থাকায় একইভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে মোবাইল ফোনও। ভুক্তভোগী গ্রাহকরাই জানিয়েছেন, যে সমস্ত ল্যান্ডলাইন ফোন চালু রয়েছে তাতেও সমস্যা হচ্ছে! দুপ্রান্তে কথা চলার সময় তাতে ঢুকে পড়ছেন তৃতীয় কেউ। ফলে গোপনীয়তা না থাকার ভয়ে তা ব্যবহার করতে ভয় পাচ্ছেন গ্রাহকরা।

গ্রাহকরা জানান, মোবাইল ফোনে সম্পূর্ণ টাওয়ার রয়েছে। অথচ ডায়াল করলে স্ক্রিনে ভেসে উঠছে নট অ্যালাউড। কখনও বেশ কয়েকবার ডায়াল করার পর রিং হলেও ওয়ান ওয়ে হওয়ায় দুপক্ষের কথা হচ্ছে না। কখনও কথা বলতে বলতে টাওয়ার উবে গিয়ে মাঝপথে কথা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদিও সব ক্ষেত্রেই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

বিএসএনএল কতৃপক্ষ সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলায় টেলিফোনের তার মজুত নেই। মিডিয়া তথা অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, মাটির নীচে কেবলের তারের ভাঁড়ারও শূন্য। ওই তারগুলির সংযোগকারী জয়েন্ট কিটও নেই দীর্ঘদিন ধরে। অথচ কোথাও রাস্তার কাজ করার সময়, কোথাও বাড়ি করার সময় মাটির নীচে থাকা কেবলের তার কেটে যাচ্ছে। এভাবেই চাঁচলের দুটি ‘বেস ট্রান্সলিভার সিস্টেমের’ মধ্যে একটি অকেজো হয়ে রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bsl worn out anger chanchal residant
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE