বধূকে গণধর্ষণে অন্যতম অভিযুক্ত বধূর দেওর মহম্মদ জাহিদকে ধরল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে শিলিগুড়ির আশরফনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পরে তাকে বাড়িতে না পাওয়া গেলেও এলাকায় লুকিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল বলে পুলিশ খবর পায়। তার পরেই পুলিশ এলাকায় সাদা পোশাকে নজরদারি শুরু করে বলে জানানো হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় মহম্মদ জাহিদ বাড়িতে ঢুকেছে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জাহিদকে নিয়ে গণধর্ষণ কাণ্ডে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত বধূর স্বামী দিলওয়ার, জামাইবাবু মহম্মদ কামাল ও অপর এক ভাই সাদ্দাম হুসেন এখনও অধরা বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্তদের কেন এখনও ধরা সম্ভব হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, তাদেরও খোঁজা চলছে। এদিন ভক্তিনগর থানায় নির্যাতিত বধূর নগ্ন ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বধূর ভাসুর মহম্মদ মুস্তাক ও জামাইবাবু মহম্মদ কামাল এবং দেওর মহম্মদ জাহিদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযোগটিও মূল মামলায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “অভিযুক্ত জাহিদকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় তাকে ও তার ভাই সাদ্দামকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন। তারই ভিত্তিতে নজর রাখা হয়েছিল।”
এলাকায় অভিযুক্তদের দেখা গেলেও পুলিশ তাঁদের খুঁজে পাচ্ছে না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাসিন্দারা। ওই বধূকে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরই স্বামী, ভাসুর, দেওর ও স্বামীর আত্মীয়রা সহ একাধিক ব্যাক্তি গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা বধু নিজেই শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শনিবার তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে বলে মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। আশরফনগর আশরফিয়া আঞ্জুমান কমিটির সম্পাদক মহম্মদ ইলিয়াসের দাবি, “পুলিশ আরও একটু সতর্ক হলে বাকিদেরও ধরে ফেলা সম্ভব হবে। তাদের আরও একটু সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy