দাবদাহ আর টানা লোডশেডিংয়ে নাজেহাল মালদহের চাঁচলের বাসিন্দারা। গত ৩ মাস ধরেই চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়া সহ প্রতিটি ব্লকের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মহকুমা সদর চাঁচলের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাবে কিছুটা ভাল হলেও, গ্রামগুলিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ।
লোডশেডিংয়ের এ সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থা কর্তারা। ওই সংস্থার উত্তর মালদহের বিভাগীয় ম্যানেজার সুমিত চৌধুরী এই দিন বলেন, “রতুয়ার পরাণপুর, হরিশ্চন্দ্রপুরে কুশিদায় কিছু এলাকায় সমস্যা থাকলেও তা মিটে গিয়েছে। কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত যাতে তা মেটে তা দেখা হচ্ছে।”
এই এলাকার বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে গত শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদায় ৩ ঘণ্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। সম্প্রতি সামসি ও চাঁচলেও টানা বিদ্যুত্ বিভ্রাটের জেরে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত তিন মাস ধরেই বিভিন্ন এলাকায় টানা লোডশেডিং চলছে। রতুয়ার পরাণপুর, বাহারাল, বাখরা এলাকায় প্রায় দিনের অর্ধেক সময়েই বিদ্যুত্ সংযোগ থাকে না বলে বাসিন্দারা দাবি করেছেন। প্রায় একই অবস্থা রতুয়ার সামসি, হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা, বারদুয়ারি, কুমেদপুর সহ অন্য এলাকার। কুশিদা পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান রেজাউল হক বলেন, “দিনে-রাতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুত্ থাকছে না। কর্তৃপক্ষকে বার বার বলেও কোনও ফল হচ্ছে না।”
হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা তথা মালদহ জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শেখ খলিল বলেন, “টানা লোডশেডিংয়ে এলাকার বাসিন্দারা নাজেহাল। গরম বাড়লে লোডশেডিং বাড়ে। আবার সামান্য বৃষ্টি হলেও বিদ্যুত্ উধাও হয়ে যায়।” চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণগোপাল পোদ্দার এই প্রসঙ্গে বলেন, “গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়াই নয়, বৃষ্টি হলেও টানা ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা চাঁচলে বিদ্যুত্ থাকে না। যথাযথ ভাবে বিদ্যুতের লাইন রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলেই এমন ঘটনা ঘটেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy