Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মিড ডে মিলে পোকা, নালিশ

মিড ডে মিলের খাবারে পোকা মিলল শিলিগুড়ির একটি স্কুলে। সোমবার শিলিগুড়ির এসএফ রোডে হিন্দি হাই স্কুলে ওই ঘটনায় অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, শুধু এ দিনই নয়। যে মিড ডে মিল ছাত্রদের দেওয়া হয় তার মান অত্যন্ত খারাপ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২১:৪৫
Share: Save:

মিড ডে মিলের খাবারে পোকা মিলল শিলিগুড়ির একটি স্কুলে। সোমবার শিলিগুড়ির এসএফ রোডে হিন্দি হাই স্কুলে ওই ঘটনায় অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, শুধু এ দিনই নয়। যে মিড ডে মিল ছাত্রদের দেওয়া হয় তার মান অত্যন্ত খারাপ। আগেও মিড ডে মিলে ছাত্ররা পোকা লক্ষ করেছে। স্কুলে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষ বোঝান পোকা নয় ও সব সবজির খোসা। অথচ পোকা চালের ভাত, নিম্নমানের খাবার ছাত্ররা ঠিক মতো খেতে পারে না। তা ছাড়া ডিম, মাছ, মাংস ভাল কোনও খাবার স্কুলের মিড ডে মিলে কখনও থাকে না। তা নিয়ে শুধু ছাত্রই নয় শিক্ষকদের একাংশও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার উপর রান্না ঘর লাগোয়া শৌচাগার থাকায় ওই ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর বলে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের একাংশই অভিযোগ তুলেছেন।

দায়িত্বে থাকা শিক্ষক অবিনাশ চন্দ এ দিন বলেন, “খাবারে পোকা থাকার অভিযোগ মিলেছে। কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মিড ডে মিলের একটি কমিটি রয়েছে। তাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে।” কর্তৃপক্ষ জানান, মাস দেড়েক আগে চাল সরবরাহ করা হয়েছে। তাতে পোকা কী ভাবে এল তাঁরা বুঝতে পারছেন না। ওই স্কুলের মিড ডে মিলের কমিটিতে থাকা শিক্ষকদের একাংশ জানান, নাম মাত্র তাঁরা কমিটিতে রয়েছেন। তাঁদের কোনও কথা কর্তৃপক্ষ শোনেন না। সে কারণে তাঁরা কোনও দায়িত্ব নিতে চান না। এ দিন দায়িত্বে থাকা শিক্ষক অবিনাশবাবুকে তাঁরা এ কথা জানিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছেন তাঁরা।

মিড ডে মিলের রান্না ঘরের পাশে যে শৌচালয় রয়েছে তা অপরিষ্কার। সামনে দাড়িয়ে থাকাই দায়। শিক্ষক, অবিভাবকের একাংশ জানান, মিড ডে মিলের রান্না ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে তাঁরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। গীতা মাহাতো, ফুলিয়া দাস, ভোলা গুপ্তরা জানান, আগেও তাদের ছেলেরা মিড ডে মিলের খাবারে পোকা থাকার কথা বাড়িতে জানিয়েছিল। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মিড ডে মিল দেওয়া হলে দেখা যায় সকলের খাবারে সরু লম্বা পোকা রয়েছে। গীতা দেবী বলেন, “এ সব খাবার খেলে আমাদের ছেলেরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন ভাল খাবার দিচ্ছেন না বুঝতে পারছি না। তা ছাড়া সবজি ও ভাত ছাড়া অন্য কিছু মেনুতে থাকে না। খাবার ছাত্ররা খেতেও চায় না।”

নন্দ কিশোর যাদব, সৌরভ দুবে, বৈশাখী দাসের মতো শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান, মিড ডে মিলের খাবারের মান মোটেই ভাল নয়। চাল অর্ধেক সেদ্ধ করা হয়। তা ছাড়া শৌচাগারের সামনে থেকে মিড ডে মিল রান্নার জায়গা অন্যত্র সরাতে তাঁরা বারবার আবেদন করেছেন। দায়িত্বে থাকা শিক্ষক, অবিনাশবাবু জানান, শিক্ষক শিক্ষিকারা ঠিকই বলেছেন। রান্নার জায়গা অন্যত্র সরাতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে তিনি প্রধান শিক্ষক নন বলে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। পরিচালন কমিটির তরফে তাঁকে যা বলা হয় তিনি সেটাই শুধু কার্যকর করেন। স্কুলের শিক্ষিকাদের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত শৌচালয় নেই বলে তাঁরা এ দিন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

mid-day meal insects poor-quality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE