Advertisement
E-Paper

রেলের বঞ্চনা, আন্দোলনের সিদ্ধান্ত

রেল নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুরে লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিল একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন সমিতি। শনিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাকক্ষে আয়োজিত কমিটির সভায় ধর্না ও বিক্ষোভের মাধ্যমে বাসিন্দাদের আন্দোলন করার রূপরেখা তৈরি করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪০

রেল নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুরে লাগাতার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিল একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন সমিতি।

শনিবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাকক্ষে আয়োজিত কমিটির সভায় ধর্না ও বিক্ষোভের মাধ্যমে বাসিন্দাদের আন্দোলন করার রূপরেখা তৈরি করা হয়। সভায় তৃণমূল, কংগ্রেস, আরএসপি দলের নেতৃবৃন্দ থেকে ব্যবসায়ী সমিতি, চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি, আইনজীবী ও নাট্যকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। গাজল, গুঞ্জরিয়া, হিলির বাসিন্দারা এবং এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে গাজলে বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আন্দোলন শুরু হবে। পরবর্তীতে জেলা জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসগুলিতে ধর্না ও বিক্ষোভ হবে। রেল বাজেটের আগে আন্দোলন জোরদার করা হবে। রেল উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক পীযূষকান্তি দেব বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে রেলের দাবিতে সব দলের প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির লাগাতার আন্দোলন করছে। ২০০৪ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর রেলের মানচিত্রে জায়গা পায়। ১০ বছর কেটে গেলেও রেলের তরফে ঘোষিত প্রকল্পগুলি হয়নি।”

তিনি জানান, বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণ, হিলিতে রেক পয়েন্ট, বালুরঘাটে ডবল লাইন ও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা, গঙ্গারামপুর, গাজল সহ সমস্ত স্টেশনের উন্নতি সহ বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ, বুনিয়াদপুর-হরিরামপুর এবং গাজল থেকে গুঞ্জরিয়া পর্যন্ত রেলপথ চালুর প্রকল্পের কাজ হয়নি। কমিটির সভাপতি তথা বালুরঘাট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, কমিটির তরফে রেল মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বালুরঘাট-হাওড়া দ্বিসাপ্তাহিক একটি ট্রেন ছাড়া গত ১০ বছরের মধ্যে একলাখি-বালুরঘাট রেলপথে পরিকাঠামোগত কোনও উন্নয়ন হয়নি।

তৃণমূলের জেলার কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব খাঁ বলেন, “রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সব দলের প্রতিনিধিরা সামিল হয়ে আন্দোলন করছি।”

বালুরঘাট স্টেশন থেকে রোজ পাঁচটি ট্রেন চলে। অথচ একটি ট্রেন-ও সময় মতো চলে না বলে অভিযোগ। বিজেপি জেলা সভাপতি তথা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি মহাবীর সারোগী বলেন, “প্রতিদিন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে রেলের উপার্জন হয় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। অথচ যাত্রী পরিষেবার নূন্যতম ব্যবস্থা হয়নি।” হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক মন্ডল বলেন, “হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা রফতানি হয়। অথচ হিলি পর্যন্ত রেলপথ হয়নি।”

balurghat rail agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy