Advertisement
E-Paper

রমজান মাসে রেশনে অমিল তেল-চিনি

রমজান মাসের প্রথম দু’ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তেল ও চিনি মিলছে না কোচবিহারের রেশন দোকানগুলিতে। ময়দা এবং ছোলা দেওয়া হলেও তা বরাদ্দের তুলনায় কম। অভিযোগ, সকাল থেকে রেশন দোকানের লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত চাহিদা-মাফিক জিনিসপত্র না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তাই ক্ষোভ বাড়ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০২:০৫

রমজান মাসের প্রথম দু’ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তেল ও চিনি মিলছে না কোচবিহারের রেশন দোকানগুলিতে। ময়দা এবং ছোলা দেওয়া হলেও তা বরাদ্দের তুলনায় কম। অভিযোগ, সকাল থেকে রেশন দোকানের লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত চাহিদা-মাফিক জিনিসপত্র না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তাই ক্ষোভ বাড়ছে।

খবর গিয়েছে রাজ্য খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত মঙ্গলবার তিনি শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। মন্ত্রী রেশন বণ্টনে ক্ষেত্রে ‘ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ’-এর দাওয়াই দেন। সেই মতো জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রেশন ডিলারদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন আধিকারিকরা। খাদ্য সরবরাহ দফতরের জেলা আধিকারিক মানিক সরকার বলেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে রেশনে চিনি ও তেল দেওয়া শুরু হবে। ময়দা, ছোলা দেওয়া হচ্ছে। যেমন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে সে হিসেবেই বিলি করা হচ্ছে।”

দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রমজান মাসে কোচবিহার জেলার জন্যে ২২৫০ কুইন্টাল চিনি এবং ৩ লক্ষ ১০ হাজার লিটার সরষের তেল বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু ওই পরিমাণ চিনি দিয়ে যে সবাইকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না তা দফতরের কর্তারাই স্বীকার করছেন। তাঁরা জানান, জেলায় যে পরিমাণ গ্রাহক রয়েছে তাতে চিনির প্রয়োজন প্রায় সাড়ে সাত হাজার কুইন্টাল। সেখানে মাত্র ২২৫০ কুইন্টাল চিনি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন। এ ছাড়া রমজান মাসে চিনির চাহিদা বেশি থাকে। বাজারে যেখানে চিনির দর ৪০ টাকা কেজি, সেখানে রেশনে ২৬ টাকা কেজি দরে চিনি দেওয়া হচ্ছে। তাই গ্রাহকদের চিনির চাহিদা কিভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁরা।

রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রমজান মাসে রেশনে পনেরো দিন অন্তর বাসিন্দাদের মাথাপিছু এক কেজি তেল, চারশো গ্রাম চিনি, চারশো গ্রাম ময়দা এবং দু’শো গ্রাম ছোলা দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যে এক সপ্তাহ রেশন থেকে ময়দা ও ছোলা বিলি করা হয়েছে। কিন্তু তা প্রাপ্য থেকে অনেক কম বলে অভিযোগ। মাথাভাঙার পচাগড়ের বাসিন্দা নেছারুদ্দিন মিয়াঁ জানান, রেশন দোকানে গিয়ে দুই সপ্তাহ ঘোরার পরেও ছোলা, চিনি পাননি। রেশন থেকে কম দামে চিনি পাওয়ার আশায় কয়েক বার রেশন দোকানে ঘুরে লাভ হয়নি কিছুই।

কোচবিহার জেলা রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল পাল জানান, তাঁরা যে রকম বরাদ্দ পাচ্ছেন, নিয়ম মেনেই তা গ্রাহকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এ ছাড়াও নির্দেশ মেনে ‘ফাস্ট কাম ফাস্ট সার্ভ’ও চালু করা হয়েছে। খাদ্য সরবরাহ দফতরের মাথাভাঙা মহকুমার আধিকারিক স্বপন সরকার জানান, ইদের আগে গ্রাহকরা যাতে চিনি, তেল পান তা দেখা হচ্ছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জিনিসপত্র সরবরাহের দাবি তুলে সরব হয়েছে ডিওয়াইএফ-এর মাথাভাঙার নেতা কাজল রায়। তিনি বলেন, “আর এক সপ্তাহ দেখব। না হলে সংগঠনের তরফে আন্দোলন করা হবে।”

বিক্ষোভ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে বিবেকানন্দ স্বনির্ভর প্রকল্পে ঋণ পেতে দেরি হচ্ছে অভিযোগ তুলে কংগ্রেস বিধায়কের নেতৃত্বে ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সে লুকসানের একটি ব্যাঙ্কে। নাগরাকাটার কংগ্রেস বিধায়ক জোশেফ মুন্ডা দ্রুত ঋণ দেওয়ার দাবি জানান।

ramzan monrth ration oil sugar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy