Advertisement
E-Paper

সংশোধনাগার নেই, ভোগান্তি

মহকুমা গঠনের একযুগ বাদে আদালত চালু হয়েছে। আর তা চালু হওয়ার পর দু বছর গড়াতে চললেও মালদহের চাঁচলে সংশোধনাগার তৈরি হয়নি। আদালত থাকলেও চাঁচলে সংশোধনাগার না থাকায় পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি নানা মামলায় অভিযুক্তদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩৫

মহকুমা গঠনের একযুগ বাদে আদালত চালু হয়েছে। আর তা চালু হওয়ার পর দু বছর গড়াতে চললেও মালদহের চাঁচলে সংশোধনাগার তৈরি হয়নি। আদালত থাকলেও চাঁচলে সংশোধনাগার না থাকায় পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি নানা মামলায় অভিযুক্তদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, জেল না থাকায় আসামিদের অন্যত্র নিতে আসতে সরকারি কোষাগার থেকে বাড়তি টাকা খরচ তো বটেই পুলিশকর্মীদেরও কর্মদিবসও নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ। সরকারি সূত্রের খবর, চাঁচলে আদালত চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করার সময়েই একই সঙ্গে জেল তৈরিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়। জমিও দেখা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় জমি না মেলায় তা আর এগোয়নি।

চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে জেলের জন্য জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি জমি চিহ্নিত করাও হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে দ্রুত জমি চিহ্নিত করে তা কারা দফতরকে জানানো হবে।”

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাঁচলে মহকুমা আদালত চালু হয়। মহকুমা আদালতে দুটি মুন্সেফ ও তিনটি ফৌজদারী আদালত রয়েছে। ফৌজদারী আদালতে চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়া থানা থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করায় পুলিশ। যে অভিযুক্তদের জামিন খারিজ হয়ে জেল হেফাজত হয়, তাদের নিয়ে যেতে হয় ৬৫ কিলোমিটার দূরের মলদহে। একইভাবে পরবর্তী শুনানির দিন তাদের ফের তাদের চাঁচলে নিয়ে আসতে হয়। আইনজীবীদের কয়েকজন জানান, যাদের জামিন হয় না, মালদহে রাতে না পৌঁছানো অবধি তাদের খাবার জোটে না। কেননা পরীক্ষা না করে অভিযুক্তদের খাবার দেওয়া হয় না।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল হেফাজত হওয়া অভিযুক্তদের নিয়ে প্রতিদিন মালদহে যাতায়াত করতে বাড়তি অর্থ খরচ হয়। পুলিশকর্মীরও ব্যবস্থা রাখতে হয়। একেই থানাগুলিতে পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। এতে পরোক্ষভাবে থানার কাজও ব্যহত হয়। সেই চাঁচলে জেল না থাকায় অভিযুক্ত শনাক্তকরণে ‘টিআই প্যারেডে’র জন্য বিচারকদেরকেও ছুটতে হয় মালদহে। চাঁচলের এসডিপিও পিনাকী রঞ্জন দাস বলেন, “চাঁচলে সংশোধনাগার হলে সমস্যা অনেকটাই মিটত।”

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, সরকার চাঁচলে দ্রুত সংশোধনাগার চালু করতে চায়। সেজন্য নির্বাচন ঘোষণার আগেই কারা দফতরের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জেলা প্রশাসনকে দ্রুত জমি দেখতে বলা হয়। কিন্তু নির্বাচনের জন্য তা আটকে যায়।

correctional home chanchal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy