হাসপাতালের নিরাপত্তার দাবিতে এক চিকিত্সক ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন। তার পরে বেশ কিছু দিন কেটে গেলেও পুলিশ ক্যাম্প বসেনি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। যার জন্য ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।
গত ২১ নভেম্বর এক রোগিনীর মৃতু্যর পর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের এক চিকিত্সককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরের দিন তিনি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিত্সকদের নিরাপত্তা নেই, এই অভিযোগ তুলে ইস্তফাপত্র জমা দেন। পরে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বুঝিয়ে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করান। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের কাছে জানালেও পুলিশের তরফে কোনও পদক্ষেপ করেনি।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রেজাউল মিনাজ বলেন, “আমরা পুলিশ সুপারের কাছে হাসপাতালে ক্যাম্প বসানোর দাবি জানিয়েছি। তার জন্য একটি কোয়ার্টারও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকেরা তা এসে দেখেও গিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ ক্যাম্প বসেনি। বিষয়টি নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে হাসপাতালের চিকিত্সক পার্থপ্রতিম দাসকে এক রোগিনীর পরিবারের লোকজন হেনস্থা করেন। তারপরেই সুপারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন চিকিত্সক। হাসপাতালের চিকিত্সকদের একাংশের দাবি, মাঝেমধ্যেই রোগীদের পরিবার ও বহিরাগতেরা হাসপাতালে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিত্সকদের হেনস্থা করেন। তাই সব সময়ে ভয়ে ভয়ে থাকেন তাঁরা। একাধিক বার ওয়ার্ডের মধ্যে চিকিত্সকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। হাসপাতালে হাতে গোনা কয়েকজন বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী অবস্থা সামাল দিতে পারেননি। রোগীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এই নিয়ে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প করার বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। দ্রুত তা করা হবে।” আলিপুরদুয়ার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রতি সন্ধ্যায় হাসপাতালে নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ।
চিকিত্সকের ইস্তফাপত্র নেওয়া প্রসঙ্গে সুপার বলেন, “উনি ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন। ওঁকে আমরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সোমবার উনি কাজে যোগ দিয়েছেন।” পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “জানতে পেরেছি হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা আমাদের সকলের মূল লক্ষ্য।”
আলিপুরদুয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক মুখের তরফে রাতুল বিশ্বাস জানান, তাঁরা হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের জন্য পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “এমনিতেই হাসপাতালে চিকিত্সক কম। তার উপর যদি নিরাপত্তার কারণে চিকিত্সক চলে যান, তাহলে এটা শহরবাসীর কাছে লজ্জা। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত।”
গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চোপড়ার দাসপাড়া এলাকাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নূর জাহান বেগম(১৮)। বাড়ি ওই এলাকাতে। এ দিন ওই গৃহবধু ওষুধ খেয়ে হটাতই অসুস্থ হয়ে পড়েন. তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তবে মৃতের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, প্রায় চার মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুনীর। দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বাও ছিল সে। সেই কারণে ওষুধ খাইয়েছিল তার পরিবারের লোকেরা। তবে ওই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy