ব্যবধান ঠিক ন’দিনের। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ফারাকটাও ন’ডিগ্রি সেলসিয়াসের! উধাও স্বস্তির আবহাওয়া।
মাসপয়লায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গকে ভাসিয়ে দিয়েছিল বৃষ্টি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ২৭.৫ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকের থেকে যা পাঁচ ডিগ্রি কম। তার ঠিক ন’দিনের মাথায়, রবিবার, ৯ অগস্ট কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.১ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। অর্থাৎ এই ন’দিনেই তাপমাত্রা বেড়েছে ন’ডিগ্রি। কেন?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ থেকে নিম্নচাপ ও মৌসুমি অক্ষরেখা বিদায় নিতেই বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে। নীল আকাশে রোদের তেজ বেড়েছে। বাড়ছে তাপমাত্রা। আর্দ্রতা বেশি বলে জ্যাবজেবে ঘামে নাকাল হতে হচ্ছে। কয়েক দিন কয়েক এমনই গরম চলবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আপাতত তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
দিল্লির মৌসম ভবনের হিসেব বলছে, ৩০ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট দক্ষিণবঙ্গে ১৭৫.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা ওই সময়ের স্বাভাবিক বৃষ্টির তুলনায় ১২২ শতাংশ বেশি। এই অতিবর্ষণে বানভাসি হয়ে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। আবহবিদেরা বলছেন, মেঘ থাকলে রোদ সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছতে
পারে না। তার ফলে তাপমাত্রাও সে-ভাবে বাড়ে না। তাই ওই সময় গরম কমে আবহাওয়া আরামদায়ক হয়ে উঠেছিল।
এখন জোরালো বৃষ্টি চাইছেন না অনেকেই। তবে মেঘলা আকাশ আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি মিলবে কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মহানগরে।
উপগ্রহ-চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিজ্ঞানী জানান, বঙ্গোপসাগরের উত্তর অংশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। পশ্চিম-মধ্য অংশে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। কাল, মঙ্গলবার দু’টি ঘুর্ণাবর্ত মিশে যেতে পারে। তাতে বাড়তে পারে তার শক্তিও। কিন্তু সেই শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত যদি ফের জোরালো বৃষ্টির বিপর্যয় ডেকে আনে?
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা জানান, এখন দক্ষিণবঙ্গে জোরালো বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। তবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তার ভাগ কলকাতা পায় কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy