বৃষ্টিবিঘ্নিত রাতে বেহারার কাঁধে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ফিরল কৃষ্ণনগরের পথে। কিন্তু করোনাকালে প্রশাসনের শর্ত কতটা মানা হল, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
রবিবার রাতে প্রথম দিকে তুলনায় যে ছোট প্রতিমাগুলি বেরিয়েছে, বেহারা ঢাকি পুজো কমিটির লোক মিলে সেগুলি পুলিশের বেঁধে দেওয়া গণ্ডিতে আবদ্ধ ছিল কি না, তা পুলিশই বলতে পারবে। তবে গভীর রাতে বৃহদাকার প্রতিমাগুলি সাঙে নিয়ে যাওয়ার সময়ে কী হতে পারে, তার পূর্বাভাস তখনই মিলেছে।
করোনার কারণে গত বছর বেহারাবাহিত বাঁশের মাচায় বা ‘সাঙে’ বিসর্জনে নিষেধ ছিল, চাকা লাগানো গাড়িতে বিসর্জন করায় পুলিশ। এ বার হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সাং নিয়ে পূর্ণাবয়ব শোভাযাত্রী করা চলবে না। তবে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন সাপেক্ষে ‘প্রতীকী শোভাযাত্রা’ করা যাবে। পুলিশ শর্ত দেয়, বেহারা, ঢাকি ও পুজো কমিটির লোক নিয়ে সর্বাধিক ৫০ জন একটি শোভাযাত্রায় যেতে পারবে। যদিও বড় পুজোলির প্রতিমা কাঁধে তুলতেই ১০০-১৫০ বেহারার প্রয়োজন হয়। এই নিয়ে পুজোকর্তারা আপত্তি জানালেও পুলিশ কর্ণপাত করেনি। শেষে ওই বিধি মানার শর্তেই সাঙের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।