কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন মমতা। এছাড়াও বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রয়েছেন। রয়েছেন বাংলা থেকে জয়ী সব বিজেপি সাংসদদের পাশাপাশি সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এঁরা সকলেই শনিবারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বলে জানা গিয়েছে। তবে সৌরভ ওই অনুষ্ঠানে আসবেন কি না তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। কিছুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা সৌরভকে না-ও দেখা যেতে পারে মোদীর কর্মসূচিতে।
শুধু সৌরভই নন, মোদীর নেতাজি কমিটিতে রয়েছে অনেক বাঙালি মুখ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ওকাজল। শনিবারের অনুষ্ঠানেও গুরুত্ব পাচ্ছেন বাঙালি শিল্পীরা। ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন উষা উত্থুপ, সৌম্যজিৎ, অন্বেষা, সোমলতা, পাপনরা।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারি অনুষ্ঠান হলেও একই মঞ্চে মোদী ও মমতার থাকাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, নেতাজি জয়ন্তী পালন নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি দেশে নেতাজি জন্মজয়ন্তী ‘পরাক্রম দিবস’হিসেবে পালনের কথা বলেছে কেন্দ্র। আর তার পরেই ওই নাম নিয়ে আপত্তি তুলে মমতা জানিয়ে দেন, রাজ্যে ২৩ জানুয়ারি ‘দেশনায়ক দিবস’ পালন করা হবে। সেই আবহেই শনিবার একই মঞ্চে বসতে পারেন মোদী ও মমতা। এর আগে কলকাতায় দু’জনকে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি। মিলেনিয়াম পার্কে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে। সে দিন ওই অনুষ্ঠানের আগে রাজভবনে বৈঠকও করেছিলেন তাঁরা। তবে শনিবার কোনও বৈঠকের সম্ভাবনার কথা জানা যায়নি।