সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি ছেড়েছেন পদার্থবিদ্যার চেয়ার প্রফেসর সব্যসাচী ভট্টাচার্য। এ বার পদার্থবিদ্যার বিভাগীয় প্রধান সোমক রায়চৌধুরীও বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে পারেন বলে খবর। বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্সি সূত্রের খবর, পুণের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (আইইউকা) বা জ্যোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যা কেন্দ্র থেকে সোমকবাবুকে সেখানকার অধিকর্তা-পদে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব্যসাচীবাবু ছিলেন প্রেসিডেন্সির জগদীশচন্দ্র বসু অধ্যাপক। তিনি পদত্যাগের আগে ওখানকার শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন। সোমকবাবুর ক্ষেত্রে অবশ্য তেমন কোনও কারণ নেই বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের দাবি।
শিক্ষা শিবিরের অনেকেই বলছেন, সোমকবাবু পুণের ডাকে সাড়া দিলে প্রেসিডেন্সিতে শিক্ষক-ঘাটতির সঙ্কট বাড়বে ঠিকই। তবে দেশের মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও অ্যাস্ট্রোফিজিক্স গবেষণার ক্ষেত্রে আইইউকা শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা-পদে যোগ দেওয়াটা সোমকবাবুর মতো বিজ্ঞানীর কাছেও যথেষ্ট সম্মানের। কী ভাবছেন সোমকবাবু? বুধবার রাতে ওই অধ্যাপক বলেন, ‘‘আইইউকা-র প্রস্তাব পেয়েছি। এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তাও করছি। তবে প্রেসিডেন্সি ছাড়ার সিদ্ধান্ত এখনও নিইনি।’’
আইইউকা-র প্রস্তাব পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সোমকবাবুর এক প্রস্ত কথা হয়েছে বলেই প্রেসিডেন্সির খবর। তবে তিনি লিখিত ভাবে কিছু জানাননি। এখন প্রেসিডেন্সিতে স্নাতক স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে এই ক্ষেত্রে বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে সোমকবাবুর। তার উপরে প্রেসিডেন্সির সমাবর্তন আগামী ২২ অগস্ট। ভর্তি প্রক্রিয়া ও সমাবর্তন অনুষ্ঠান মিটে গেলে সোমকবাবু পুণের প্রস্তাবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy