Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সিড়ড়ি জেলে বন্দি-মৃত্যু

সংশোধনাগারের গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক বিচারাধীন বন্দির। সিউড়িতে জেলা সংশোধনাগারে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে। মৃত বন্দির নাম প্রশান্ত বড়াল (৬৪)। বাড়ি মুর্শিদাবাদের কান্দিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

সংশোধনাগারের গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক বিচারাধীন বন্দির। সিউড়িতে জেলা সংশোধনাগারে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে। মৃত বন্দির নাম প্রশান্ত বড়াল (৬৪)। বাড়ি মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। জেলে নিরাপত্তা থাকা সত্বেও কেন এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগতে থাকা ওই বন্দি হঠাৎ গাছে উঠে ঝাঁপ দেন। মাথায় চরম আঘাত পান। সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁকে বাঁচানোর কোনও সুযোগ পাওয়া যায়নি।

জেলা সংশোধনাগার সূত্রের খবর, ৯ জানুয়ারি সিউড়ি আদালতের নির্দেশে ওই বিচারাধীন বন্দি সংশোধনাগারে আসেন। ওই বন্দির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার ধারা ছিল। সিউড়ি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা প্রশান্তবাবু সিউড়ির কড়িধ্যায় তাঁর শ্যালকের বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে এসে শ্যালক ও তাঁর স্ত্রীকে কাটারি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে। আহতেদের সিউড়ি হাসপতালে পাঠাতে হয়। সিউড়ি থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই ধরা পড়েন প্রশান্ত বড়াল।

পুলিশও মনে করছে তাঁর আচরণে অস্বাভাকিকত্ব ছিল। সিউড়ি সংশোধনাগারে আসার পরেও তাঁর আচরণে অসঙ্গতি ছিল। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বুধবারই জেল হাসপাতালে তাঁকে দেখেন চিকৎসক। চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন, তাঁকে মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। যেহেতু সিউড়ি জেলা হাসপাতালের আউটডোরে এ দিন তেমন কোনও চিকিৎসক ছিলেন না, তাই মধ্যবর্তী সময়ে জেল হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয় প্রশান্তবাবুকে।

জামাকাপড় নিয়ে আসি বলে জেলা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সামনের একটি অশ্বত্থ গাছে উঠেই সেখান থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। কাছাকাছি থাকা সহবন্দিদের কাছে খবর পেয়ে ছুটে আসেন জেলের চিকিৎসক ও নিরাপত্তা রক্ষীরা। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার আগেই ঘটেছে। তবুও প্রশ্ন একজন বিচারাধীন বন্দি এমন আচরণ করলে সেটা কেন নজরে রাখা হবে না। গত জানুয়ারিতেও এক বন্দির মৃত্যুকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে এই নিয়ে কোনও তদন্ত হবে কিনা সেটা স্পষ্ট করেননি জেল কর্তৃপক্ষ। যোগাযোগ করা যায়নি মৃতের পরিজনের সঙ্গে।

বাসস্ট্যান্ডের দাবি। মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর এলাকায় কোনও সরকারি বাসস্ট্যান্ড নেই। এর ফলে মুর্শিদাবাদের সালার, বহরমপুর, কান্দি এবং বীরভূমের রামপুরহাট হয়ে নারায়ণপুর, ভদ্রপুর, সিউড়ি রুটের বিভিন্ন বাস রামপুরহাট বিষ্ণুপুর এবং রামপুরহাট পারুলিয়া এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। বহু বাসকেউ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা অপূর্ব চৌধুরী জানান, বিষ্ণুপুর এলাকায় বাসস্ট্যান্ডের জন্য পূর্ত দফতরের অনেক জায়গা আছে। অথচ বাসস্ট্যান্ড করা হচ্ছে না। এই দাবির সঙ্গে সহমত অনেকেই। দাবি উঠেছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Prison district correctional home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE