পথে: বাঁকুড়া মেডিক্যালের কাছে। নিজস্ব চিত্র
প্রতিবাদ হবে, তবে পরিষেবা ব্যাহত করে কোনও ভাবেই নয়। চিকিৎসকদের সাফ নির্দেশ দিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) তরফে। সেই নির্দেশ মানলেন চিকিৎসকেরাও। যার ফলে দুই জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা মঙ্গলবার ব্যাহত হল না।
রোগী দেখেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল বিলের প্রতিবাদ জানালেন পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার আইএমএ-র সদস্য চিকিৎসকেরা। পুরুলিয়ায় কালো ব্যাজ পরে রোগীদের চিকিৎসা হল। আর বাঁকুড়ায় কাজ সেরে দুপুরে প্রতিবাদে মিছিল বেরোল।
আইএমএ-র পুরুলিয়া জেলা শাখা সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগগুলিতে ডাক্তাররা কালো ব্যাজ পরে কাজ করেন। আইএমএ-র পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক অজিত মুর্মু বলেন, ‘যেহেতু দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা হাসপাতালে আসেন, তাই তাঁদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করতে আমরা চাইনি। তাই কর্মবিরতি পালন না করে আমরা কালো ব্যাজ পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’ তিনি জানান, জেলার অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও তাঁরা এ দিন প্রতিবাদ দিবস পালন করেছেন।
পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হাসপাতালে বহির্বিভাগ-সহ অন্য বিভাগেও পরিষেবা স্বাভাবিকই ছিল। বহির্বিভাগে অন্যদিনের মতোই প্রায় ১৪০০-র বেশি রোগী পরিষেবা পেয়েছেন। হাসপাতাল সুপার শিবাশিস দাস বলেন, ‘‘পরিষেবায় কোন বিঘ্ন ঘটেনি।’’
বাঁকুড়া মেডিক্যালেও দিনভর পরিষেবা সচলই ছিল। এ দিন সমস্ত স্তরের চিকিৎসক ও পড়ুয়ারা কালো ব্যাজ পরে ওই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। দুপুরে বিলের প্রতিবাদে চিকিৎসকেরা হাসপাতাল চত্বরে মিছিল করেন।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের কাজকর্মে কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ সব বিভাগই ছিল সচল। দুপুরের ছুটির সময়ে চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন।” আইএমএ-র জেলা সম্পাদক অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে কোনও আন্দোলন হবে না বলে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ দিন জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই পরিষেবা সচল ছিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy