Advertisement
E-Paper

আতঙ্ক ফিরিয়ে ফের ভাঙল বাড়ি

জোনাকি ক্লাব থেকে যে রাস্তা বারুইপাড়ার দিকে গিয়েছে, তা ধরে কিছুটা এগোলেই ডানদিকে ছিল বাড়িটি। সেটিই হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বাড়ির ভগ্নাবশেষ রাস্তায় ছিটকে এসে পড়ে। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে রামকৃষ্ণ আশ্রমের  সীমানার মধ্যে থাকা সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার ঘরে। ভেঙেছে সেটি-ও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৭
জীর্ণ: ভেঙে পড়েছে পুরনো বাড়ি। বৃহস্পতিবার তা দেখতে কৌতূহলী ভিড় সিউড়ির টিনবাজারে। নিজস্ব চিত্র

জীর্ণ: ভেঙে পড়েছে পুরনো বাড়ি। বৃহস্পতিবার তা দেখতে কৌতূহলী ভিড় সিউড়ির টিনবাজারে। নিজস্ব চিত্র

মাসখানেক আগে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ার স্মৃতি এখনও টাটকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের শহরের জনবহুল এলাকায় একটি দোতলা পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ায় সেই আতঙ্ক ফিরল।

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে টিনবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জোনাকি ক্লাব থেকে যে রাস্তা বারুইপাড়ার দিকে গিয়েছে, তা ধরে কিছুটা এগোলেই ডানদিকে ছিল বাড়িটি। সেটিই হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বাড়ির ভগ্নাবশেষ রাস্তায় ছিটকে এসে পড়ে। বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে রামকৃষ্ণ আশ্রমের সীমানার মধ্যে থাকা সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার ঘরে। ভেঙেছে সেটি-ও।

এলাকাবাসীর বক্তব্য, ঘন্টা কয়েক আগে বাড়ি ভাঙলে বড় ক্ষতি হয়ে যেত। কারণ ওই বাড়ি ঘেঁষেই আনাজ নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে জমজমাট থাকে গোটা চত্বর। দুপুরে সকলে খেতে যান। তাতেই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।

সিউড়ির পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বড় বিপদ ঘটতে পারত। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির প্রকৃত মালিকদের বলা হয়েছে শুক্রবার থেকে নিজেদের খরচে বাড়িটিকে ভেঙে ফেলতে।’’ তিনি জানান, ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকৃত মালিক শ্যামলকুমার দাস, অমরকুমার দাস ওই বাড়িতে বসবাস করতেন না। তাঁরা কয়েকশো মিটার দূরের অন্য বাড়িতে থাকেন। কিন্তু এ ভাবে বিপজ্জনক অবস্থায় বাড়িটি রাস্তার পাশে রয়েছে, তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি। বাড়ি ভেঙে পড়ার পরে ঘটনাস্থলে এলেও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি অমরবাবুরা।
এলাকার কিছু বাসিন্দার দাবি, বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে এমনই বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। ভেঙে ফেলার জন্য মৌখিক ভাবে পুরসভাকে আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, সেপ্টেম্বরে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ার পরে, সেটির সংস্কার করা হবে না ভেঙে ফেলা হবে— সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না হওয়া নিয়েও।

উজ্জ্বলবাবু অবশ্য দাবি করেন, সিউড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে না এলাকাবাসী, না বাড়ির মালিক তাঁকে কিছু জানাননি। পুজোর ছুটি থাকায় সিউড়ির বহুতল নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রয়েছে। তবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানান, বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করবে পুরসভা।

House Collapse Suri Birbhum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy