থানা চত্বরে আটকে রাখা হয়েছে ছ’টি বালি বোঝাই ট্রাক। মঙ্গলবারের নিজস্ব চিত্র।
অতিরিক্ত পরিমাণ বালি বোঝাই করে ট্রাক যাতায়াত করায় ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার এবং খালের উপরের সেতুর। এর প্রতিবাদে ৬টি বালি ভর্তি ট্রাক আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে কোতুলপুর থানার লাউগ্রাম অঞ্চলের পান্নে গ্রামের ঘটনা। বিষয়টি বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসককে জানিয়ে আটক ট্রাকগুলি প্রশাসনের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা।
পান্নে, লাউগ্রাম, কারকবেড়ে, চকচাঁদ, আমদই গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, “বাঁকুড়ার ইন্দাস ও হুগলির গোঘাট থানা এলাকা থেকে দ্বারকেশ্বর নদের বালি তুলে পান্নে-কোতুলপুর (আমদহ হয়ে) রাস্তায় দৈনিক প্রচুর বালি বোঝাই লরি-ট্রাক আসা-যাওয়া করে। অতিরিক্ত বালি বোঝাই ওই সব গাড়ির চলাচলে রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তা ছাড়া, এই রাস্তায় পান্নে খালের উপর একটি দুর্বল সেতু রয়েছে। ভারী গাড়ি যাতায়াতে সেটিও যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে। বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কাজ না হওয়ায় এ দিন লরি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হলাম।’’ পান্নে গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ মল্লিক, লাউগ্রামের বিশ্বনাথ তা বলেন, “এই রাস্তার আশেপাশে তিন-চারটি স্কুল রয়েছে। রয়েছে পান্নে হাট। বহু মানুষের আসা-যাওয়ার রাস্তা এটি। ওভারলোডেড গাড়ি যাওয়ায় রাস্তাটি হেঁটে চলারও অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন পান্নে খালের সেতুটিও এই কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। প্রধানকে বারবার বলার পরেও তিনি কোনও গুরুত্ব দেননি।’’
লাউগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কারকবেড়ে গ্রামে বাস করেন কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, তৃণমূলের বাসুদেব হাজরা। তিনিও ওই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠকে এবং এলাকার প্রধানকে বারবার রাস্তাটির কথা জানিয়েছি। তবুও টনক না নড়ায় নিজেরই খুব খারাপ লাগছে।’’ লাউগ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলেরই দখলে। পঞ্চায়েত প্রধান তুষার ঘোষের অবশ্য দাবি, “বৈধ পারমিট নিয়েই লরি-ট্রাকগুলি চলাচল করে। ওদের সঙ্গে পঞ্চায়েতের চুক্তি আছে, রাস্তা খারাপ হলে ওরাই মেরামত করবে। বর্ষার পরে সেই কাজে নামা হবে।’’
বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়েই আমি বিষ্ণুপুরের সহ আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক এবং কোতুলপুরের বিডিও-কে ঘটনাস্থলে পাঠাই। পুলিশ ৬টি বালি বোঝাই লরি আটক করে।’’ কিন্তু, অতিরিক্ত পরিমাণ বালি বোঝাই করার যে অভিযোগ গ্রামবাসীরা করেছেন, সেই অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মহকুমাশাসক জানান, ওই ধরনের বালির গাড়ি আটকাতে ওই এলাকায় আরও তল্লাশি অভিযান চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy