Advertisement
E-Paper

মাতৃযান নিয়ে নালিশ পুরুলিয়ায়

পরিষেবা দেওয়ার জন্য রোগীর আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল ‘মাতৃযান’ প্রকল্পে কর্মরত এক চালকের বিরুদ্ধে। পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে বুধবারের ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে প্রসূতি বিভাগ থেকে এক প্রসূতিকে ছুটি দেওয়া হয়। তিনি পুরুলিয়া থেকে বান্দোয়ানে ফিরতে চাইলে মাতৃযান প্রকল্পে কর্মরত এক চালক ওই প্রসূতির আত্মীয়ের কাছে থেকে গাড়িতে তেল (জ্বালানি) নেই, এই অজুহাতে টাকা দাবি করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০১:৩০
গাড়ি কখন মিলবে? অপেক্ষায় প্রসৃতিরা।—নিজস্ব চিত্র।

গাড়ি কখন মিলবে? অপেক্ষায় প্রসৃতিরা।—নিজস্ব চিত্র।

পরিষেবা দেওয়ার জন্য রোগীর আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল ‘মাতৃযান’ প্রকল্পে কর্মরত এক চালকের বিরুদ্ধে। পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে বুধবারের ঘটনা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে প্রসূতি বিভাগ থেকে এক প্রসূতিকে ছুটি দেওয়া হয়। তিনি পুরুলিয়া থেকে বান্দোয়ানে ফিরতে চাইলে মাতৃযান প্রকল্পে কর্মরত এক চালক ওই প্রসূতির আত্মীয়ের কাছে থেকে গাড়িতে তেল (জ্বালানি) নেই, এই অজুহাতে টাকা দাবি করেন। প্রসূতির আত্মীয়া টাকা দিতে আপত্তি জানালে সামান্য উত্তেজনাও ছড়ায়। ওই আত্মীয় এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। বান্দোয়ানের বাসিন্দা উচিত কালিন্দীর অভিযোগ, ‘‘আমার বোনের সোমবার এই হাসপাতালে পুত্র সন্তান হয়। এ দিন ওকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বান্দোয়ানে ফিরব বলে সুপারের অফিসে ছুটির কাগজপত্র নিয়ে মাতৃযানের জন্য যাই। সেই গাড়িতেই বোনকে নিয়ে যাব বলে ঠিক করেছিলাম। আমাকে যে গাড়িতে বোনকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল, তার চালককে কাগজপত্র দেখাতে তিনি প্রথমে বান্দোয়ান যেতে অস্বীকার করেন। বলেন, রাস্তা খারাপ। আমি তাঁকে বলি, বান্দোয়ান থেকে তো আরও গাড়ি আসা-যাওয়া করছে। তখন ওই গাড়ি চালক আমাকে বলেন, গাড়িতে তেল নেই। তেলের টাকা দিতে হবে।’’

এর পরেই তিনি সহকারী সুপার শান্তনু মুখোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানান। শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘এ রকম একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে যে, মাতৃযান প্রকল্পে কর্মরত একটি গাড়ির চালক এক প্রসূতির আত্মীয়ের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছেন। এই প্রকল্পে কর্মরত কোনও গাড়ির চালকেরই রোগীর আত্মীয়ের কাছ থেকে কোনও রকম অর্থ চাওয়ার অধিকার নেই। কেন না সরকার থেকে ওই গাড়ির মালিকেরা অর্থ পান। এ ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল খতিয়ে দেখা হবে।’’

এ দিকে, টাকা চাওয়ার অভিযোগ জানাজানি হতেই হাসপাতালের কর্মীরা মাতৃযানের অফিসে যান। কোনও কর্মীকে দেখতে না পেয়ে ওই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। ওই অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী অসিত কৈবর্ত বলেন, ‘‘আমিও এ রকম অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’’ তবে যে চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তাপস বাউরির দাবি, ‘‘আমি কোনও রকম টাকা দাবি করিনি। সকলেই জানেন, এই গাড়ি ব্যবহারের জন্য অর্থ লাগে না। তবে আমি বলেছিলাম, গাড়িতে তেল নেই। সেটাই ওঁরা ভুল বুঝেছেন।’’ অন্য কয়েক জন চালকও বলেন, ‘‘আমরা টাকা দাবি করিনি। কোনও দালাল করে থাকতে পারে। হাসপাতালে অনেক দালাল ঘুরে বেড়ায়।’’ পরে শান্তনুবাবু জানান, ওই চালকই প্রসূতিকে বান্দোয়ানে নিয়ে গিয়েছেন।

Purulia Matrijan Allegation tapas bauri deben mahato hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy