বরাত: ফজিলা খাতুন। নিজস্ব চিত্র
তিরন্দাজির অনুশীলন চলাকালীন গলায় তির বিঁধে গুরুতর জখম হলেন অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষানবিশ ছাত্রী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ‘স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র অন্তর্গত বোলপুরের কবিগুরু ক্রীড়াঙ্গনে। স্থানীয় গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা ফজিলা খাতুন নামে ওই ছাত্রীকে তিরবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে সেখান থেকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বের করা হয় তির। অস্ত্রোপচারের পরে ভাল আছে ফজিলাও।
বোলপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা ফজিলা আট মাস ধরে কবিগুরু ক্রীড়াঙ্গনের ছাত্রীনিবাসে থেকে তিরন্দাজির প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পড়ে গঙ্গারামপুর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্রীড়াঙ্গন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ নভেম্বরের একটি প্রতিযোগিতার জন্য এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রশিক্ষক ছাড়াই আট শিক্ষানবিশ প্রতিযোগী অনুশীলন করছিল। লক্ষ্যের দিকে তির নিয়ে প্রস্তুত ছিল জুয়েল শেখ নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র। সেই সময় ‘সার্কল বোর্ড’-এর কাছে পড়ে থাকা তির সংগ্রহ করতে যায় ফজিলা। তখনই তির হাওয়ায় ঘুরে গিয়ে চকিতে পিছন দিক থেকে গলার ডানপাশে এসে বেঁধে। তড়িঘড়ি তিরটি ছোটো করে কেটে উপস্থিত লোকজন তাকে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে সেখান থেকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানেই অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় তির।
তিরন্দাজির ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষক হরিশ কুমার ছটপুজোর ছুটিতে গিয়েছেন। তিনি উপস্থিত থাকলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটত না বলে দাবি উপস্থিত প্রতিযোগীদের একাংশের। কবিগুরু ক্রীড়াঙ্গণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রশিক্ষক ছুটিতে ছিলেন। এ দিনই তাঁর চলে আসার কথা ছিল। তিনি আসেননি।” উৎপলবাবুর সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি।
“বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে আমার মেয়ে”— বলছেন ফজিলার মা আয়সা সিদ্দিকা। আর ফজিলার কথায়, ‘‘আমি পড়ে থাকা তির কুড়োচ্ছিলাম। সেই সময় জুয়েলকে তির ছুড়তে নিষেধ করা হয়েছিল। তা-ও তির ছুটে যায়। পিছন দিক থেকে সজোরে তিরটা গলার পাশে ঢুকে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy