Advertisement
০৪ মে ২০২৪

দ্রুত মান্ডি চালুর আশ্বাস

বৃহস্পতিবার মুরারই ২ ব্লক অফিসে মুরারই ১ এবং মুরারই ২ ব্লকের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক, জেলা সভাধিপতি ও মহকুমাশাসক। সেখানে দুই বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যেরা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মুরারই শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০২:০৩
Share: Save:

প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে কিসান মান্ডি ও কর্মতীর্থগুলি যথাযথ ভাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু শাসকদলেরই এক ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কিসান মান্ডি ও কর্মতীর্থ চালু করার ক্ষেত্রে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। অবশেষে এলাকায় গিয়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হলেন জেলাশাসক ও জেলা সভাধিপতি।

বৃহস্পতিবার মুরারই ২ ব্লক অফিসে মুরারই ১ এবং মুরারই ২ ব্লকের উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক, জেলা সভাধিপতি ও মহকুমাশাসক। সেখানে দুই বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যেরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ে মুরারই ২ ব্লকের তৈরী হয়ে থাকা কর্মতীর্থ প্রকল্প এবং কিসান মান্ডি চালু করার ব্যপারে আলোচনা হয়। মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের আলি রেজা জানান, ওই দুই প্রকল্প চালু না হওয়া নিয়ে আগেই জেলাশাসককে অভিযোগ জানান হয়েছিল। বৈঠকেও সেই কথা তোলা হয়। আলি রেজা জানান, এলাকার কাশিমনগরে ১০ কোটি টাকা খরচ করে ১৫ বিঘা জমিতে মাণ্ডি গড়া হয়েছে। এলাকার আনাজ ব্যবসায়ীদের নিয়ে সম্প্রতি ওই মান্ডি কিছু দিনের জন্য চালু রাখা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, পাইকরের বাসিন্দা তৃণমূলের মুরারই ২ ব্লকের সভাপতি হিয়াতনগর মোড়ে নিজের জায়গায় আনাজ বাজার বসানোয় সেই উদ্যোগ সফল হয়নি।

আলি রেজার দাবি, জেলা পরিষদ থেকে হিয়াতনগর মোড়ে সরকারি জায়গায় কর্মতীর্থ প্রকল্পে এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের রোজগারের জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫টি দোকান ঘর তৈরি করা হয়। প্রকল্পটি চালু করার জন্য জেলাপরিষদ থেকে ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত সমিতিকে হস্তান্তর করা হয় । তবুও এখনও চালু হয়নি। ওই ব্যাপারেও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মুশকিল বাধিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মুরারই ২ ব্লক সভাপতি আফতাবউদ্দিন মল্লিক জানান, যে জায়গায় বর্তমানে কর্মতীর্থ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে সেটি পূর্ত দফতরের। ওই জায়গার কাছে পারিবারিক জায়গায় অনেকে ব্যবসা করতেন। তাঁরা অসুবিধায় প়ড়েছেন। সেই জন্য একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনি কোনও বাধা দেননি বলে দাবি করেছেন। কিসান মান্ডির ব্যাপারে আফতাবউদ্দিন বলেন, ‘‘কিসান মান্ডি দূরে হওয়ায় এলাকার পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীরা যেতে চাইছেন না।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, সমস্যা মিটে গিয়েছে। কর্মতীর্থ ও কিসান মান্ডি দ্রুত শুরু করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kisan Mandi কিসান মান্ডি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE