Advertisement
০২ মে ২০২৪
Lok Sabha Election 2024

অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ প্রিসাইডিং অফিসার! আপত্তি

শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হওয়ায় প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব সামলাবেন কী ভাবে? ক্ষুব্ধ কর্মীরা সোমবার বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে নিজেদের আপত্তির কথা জানান।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:০০
Share: Save:

শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি। জমিদাতা হিসেবে বাঁকুড়া জেলায় গঙ্গাজলঘাটির এমন অনেকে ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন। কেউ সেই পদেই রয়েছেন। কারও বা পদোন্নতি হয়েছে। তেমনই বহু কর্মী এ বার ভোটে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পাওয়ায় নিজেরাই বেঁকে বসেছেন। তাঁদের একাংশের দাবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হওয়ায় প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব সামলাবেন কী ভাবে? ক্ষুব্ধ কর্মীরা সোমবার বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে নিজেদের আপত্তির কথা জানান। বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ত্রুটি সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রের দাবি, প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘এ’ অথবা ‘বি’ গ্রুপের কর্মীদের। সাধারণত কলেজ, হাই স্কুলের শিক্ষক এবং উচ্চ পদমর্যাদার আধিকারিকেরা প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পান।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের দাবি, ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঠানো কর্মী তালিকার ভিত্তিতেই দায়িত্ববণ্টন করা হয়েছে। বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, ‘‘বেতমক্রম ও পদমর্যাদা অনুযায়ী ভোটের কাজ বণ্টন করা হয়। কর্মীদের বেতনক্রম ও পদমর্যাদা সংশ্লিষ্ট দফতর বা সংস্থা প্রশাসনের কাছে পাঠায়। সেই তালিকা অনুযায়ী ভোটের কাজ বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোথাও ত্রুটি হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।’’

প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পাওয়া মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘কোল হ্যান্ডেলিং প্লান্টের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ দুলাল কিস্কু এবং ‘মেকানিক্যাল বিভাগের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ সাধন মুখোপাধ্যায়, নারান মাজি বলেন, ‘‘আমরা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে ঢুকেছিলাম। পরে পদোন্নতি হয়। কিন্তু আগে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পোলিং অফিসারের কাজ করলেও কখনও আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ বারে সেই দায়িত্ব দেওয়ার চিঠি পেয়ে চমকে গিয়েছি। ওই গুরুদায়িত্ব সামলাব কী করে? আমরা সবাই অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ। ইংরেজি ঠিকমতো পড়তেই পারি না!’’

গলদ কোথায়? মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক কর্তা জানান, তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হলেও ধাপে ধাপে তাঁদের বেতনক্রম অনেকটাই বেড়েছে। কাজের অভিজ্ঞতার নিরিখে পদোন্নতিও হয়েছে বহু কর্মীর। ফলে অনেকেরই পদমর্যাদা বেড়েছে। প্রশাসন হয়তো বেতনক্রম ও পদমর্যাদার নিরিখে দায়িত্ব বণ্টন করায় এমন সমস্যা হয়েছে।

যদিও জেলা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ‘‘যোগ্যতার নিরিখেই ভোট কর্মীদের ব্যবহার করা হবে। তবে বহু বছর ধরেই মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মী-আধিকারিকেরা ভোটে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আগে কখনও এমনটা হয়নি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের তরফে পাঠানো তালিকা ঠিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখেই সমস্যার প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 Presiding Officer bankura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE