কোলিয়ারির বিস্ফোরণে বাড়িতে ফাটল ধরছে বলে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ তুলে আসছেন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার মনোহরগ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। লাগাতার আন্দোলনের জেরে এলাকায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সমীক্ষাও করা হয়েছিল চলতি বছরের গোড়ায়। কিন্তু মাসের পরে মাস পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের তরফে গ্রামবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সমীক্ষায় ঠিক কী উঠে এসেছে, তা-ও জানাতে পারছেন না প্রশাসনিক কর্তারা।
মনোহরগ্রামের ডাঙাপাড়ায় বেশির ভাগ বাড়িই কাঁচা। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রায় সব বাড়িতেই কমবেশি ফাটল ধরেছে। তেমনই এক গৃহস্থ ডাঙাপাড়ার ফটিক বাউড়ি। তাঁর স্ত্রী ঝর্নাদেবী বলেন, “রাতে বিস্ফোরণ হলে ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। ছেলেদের নিয়ে ভয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই।”
ফটিকবাবুর পড়শি বরেন বাউড়ি বলেন, “বাড়িতে বাচ্চাদের রেখে বাইরে কাজে গিয়েও সব সময়ে আশঙ্কায় থাকি। ভয় হয়, এই বুঝি চালা ভেঙে পড়ল।” ওই গ্রামেই সরকারি প্রকল্পে পাকা বাড়ি পেয়েছেন মুক্তারাম বাউড়ি। তাঁর বাড়ির দেওয়ালেও দেখা দিয়েছে ফাটল। মুক্তারামবাবু জানান, গর্ত দিয়ে বাড়ির ভিতরে পোকামাকড় ঢুকে যায়। বৃষ্টির জলও ঢোকে। মুক্তারামবাবুর পড়শি বালি বাউড়ি বাড়ির ফাটল দেখিয়ে বলেন, “ফাটলে কাদা লেপে রাখতে হয় সাপ ঢোকা বন্ধ করতে”।