Advertisement
০৩ মে ২০২৪

অবাধ ভোটের আশ্বাস কর্তার

নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের উপরেও নজরদারি চালাবে। এ কথা আগেই ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই পর্যবেক্ষক ঢুকে গেলেন বীরভূমে। আর পৌঁছেই জেলায় অবাধ ভোট করানোর পক্ষেই জোর দিলেন বীরভূমের পর্যবেক্ষক এস সুব্রহ্মণ্যম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট ও দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৬ ০১:৫৯
Share: Save:

নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের উপরেও নজরদারি চালাবে। এ কথা আগেই ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই পর্যবেক্ষক ঢুকে গেলেন বীরভূমে। আর পৌঁছেই জেলায় অবাধ ভোট করানোর পক্ষেই জোর দিলেন বীরভূমের পর্যবেক্ষক এস সুব্রহ্মণ্যম।

বুধবার প্রথমে দুবরাজপুর ও পরে রামপুরহাটে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি বেশ কিছু বুথও ঘুরে দেখলেন বীরভূমের পর্যবেক্ষক এস সুব্রহ্মণ্যম। বীরভূমের পাশাপাশি তিনি মালদহেরও দায়িত্বে রয়েছেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন দেখবে সঠিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঠিক কী করণীয়। আমরা দেখব ১০০ শতাংশ মানুষ যেন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’’ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে জেলা পর্যবেক্ষক আরও জানান, বীরভূমের বেশ কিছু এলাকায় ভোটদানের হার কেন কম, তার কারণ খতিয়ে দেখবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বেশ কয়েকটি সম্ভাবনা থাকতে পারে। হয় ভোটারেরা ততটা সচেতন নন। অথবা তাঁদের সঠিক ভাবে ভোট দেওয়ার জন্য সচেতন করা হয়নি। কিংম্বা অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে।’’ ‘অন্য কারণ’ যে যথেষ্টই রয়েছে, সেই অভিযোগ করছেন বিরোধীরাই। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মির দাবি, মঙ্গলবার বোলপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বক্তবেই তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বিরোধী ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার কথা তৃণমূল নেতারা প্রকাশ্যে মেনে নিয়েছেন বলে জিম্মির দাবি। তৃণমূল অবশ্য ওই দাবি মানতে রাজি হয়নি।

কমিশনের জেলা পর্যবেক্ষক অবশ্য এ দিন এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি রামপুরহাটে মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের আগে ভোটদানে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিশন যে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে, তা কতটা কার্যকর হয়েছে তার খোঁজ নিতে শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। ভোটদান নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ভীতি দূর করাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর জন্য নির্দেশ দেন পর্যবেক্ষক। বুথে বুথে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে নানা এলাকায় (বিশেষ করে আদিবাসী তফশিলি অধ্যুষিত এলাকায়) বিশেষ ভাবে প্রচার চালানোর পরামর্শও দেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মহিলাদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য আরও বেশি করে গ্রামে গ্রামে ভিডিও শো, বাউল গান প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হবে। ওই বৈঠকের পরে পর্যবেক্ষক চলে যান রামপুরহাট ১ ও ২, এবং ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকে। ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই তিনটি ব্লকের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।

এ দিন রামপুরহাটের আগে দুবরাজপুরের বেশ কয়েকটি বুথ ঘুরে দেখেন জেলা পর্যবেক্ষক। পরে দুবরাজপুরের বিডিও বনমালি রায় জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে তাঁরা প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিয়েছেন। জেলা পর্যবেক্ষক আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Assembly Election 2016
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE