Advertisement
২৩ মে ২০২৪
পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন রামপুরহাটে

নিয়ম ভেঙেই চলল নির্মাণ

নিয়ম ভেঙে রবিবারও রামপুরহাট হাটতলা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপর ইমারতি দ্রব্য ফেলে নির্মাণ কাজ চলল পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারির বহুতল বাড়ির। শুধু অশ্বিনী তিওয়ারিই বহুতলের ক্ষেত্রেই নয়, রবিবার দেশবন্ধু রোড ঢুকতে কামারপট্টি মোড়েও রাস্তার উপর ইমারতি দ্রব্য ফেলে বাড়ি নির্মাণের কাজ করতে দেখা যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০১:২৭
Share: Save:

নিয়ম ভেঙে রবিবারও রামপুরহাট হাটতলা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপর ইমারতি দ্রব্য ফেলে নির্মাণ কাজ চলল পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারির বহুতল বাড়ির। শুধু অশ্বিনী তিওয়ারিই বহুতলের ক্ষেত্রেই নয়, রবিবার দেশবন্ধু রোড ঢুকতে কামারপট্টি মোড়েও রাস্তার উপর ইমারতি দ্রব্য ফেলে বাড়ি নির্মাণের কাজ করতে দেখা যায়। আর তার জেরে এ দিনও শহরে দেশবন্ধু রোড, বিআর রোড, ব্যাঙ্ক রোডে যানবাহন চলাচলে অসুবিধার মধ্যে পড়েন পথচলতি মানুষ।

শনিবার সকালে রামপুরহাটে শহরের ব্যস্ততম রাস্তা দেশবন্ধু রোডের অর্ধেকের বেশি অংশ জুড়ে ইমারতি দ্রব্য ফেলে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের বহুতল বাড়ি তৈরির তদারকি করেছিলেন শহরের তৃণমূল পুরপ্রধান। যা দেখে ক্ষোভ তৈরি হয় এলাকায়। বিরোধীদের দাবি, পুরপ্রধানের এই কাজ প্রথমত আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। দ্বিতীয়ত, পুরপ্রধানই যদি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখান, তা হলে শহরের সাধারণ মানুষ কেন তা পালন করবেন? প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই শাসকদলের ওই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আইন মেনে পুলিশ পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ঘটনার সময় পাশ দিয়ে পুলিশের গাড়িকে বিষয়টি না দেখার ভান করে চলেও যেতে দেখা যায়।

শুধু রাস্তা দখলই নয়, প্রশ্ন উঠেছে পুরপ্রধানের নির্মীয়মাণ বহুতল বাড়ি নিয়েও। কাউন্সিলর অমল শেখের অভিযোগ ছিল, পুরপ্রধানের বহুতলটি অবৈধ। কারণ, বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চারপাশে জায়গা ছাড়া হয়নি। অশ্বিনীবাবু অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। এমনকী, রাস্তা দখল করে তিনি ভুল করেছেন বলেও মেনেছিলেন। যদিও রবিবার সেই ভুল সংশোধনের রাস্তায় দেখা গেল না পুরপ্রধানকে। এ দিনও রাস্তা দখল করে ইমারতি দ্রব্য ফেলে ওই বহুতলের কাজ চলল। পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেন? মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ কর্তারা। জবাব মেলেনি অশ্বিনীবাবুরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Construction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE