Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কাজে নিষেধ ঠিকাদার সংস্থাকে

পদ্ধতি মেনে নিকাশি ব্যবস্থার কাজ হচ্ছে না। এই অভিযোগে নির্মাণকারী সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল জেলা পরিষদ। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তরফে একটি চিঠি দিয়ে ওই সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৪৯
Share: Save:

পদ্ধতি মেনে নিকাশি ব্যবস্থার কাজ হচ্ছে না। এই অভিযোগে নির্মাণকারী সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল জেলা পরিষদ। সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তরফে একটি চিঠি দিয়ে ওই সংস্থাকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, জেলাস্তরের কমিটি পরিদর্শন করে ছাড়পত্র দিলে তবেই ফের কাজ শুরু করতে পারবে ওই সংস্থা।

জেলাপরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাতড়ায় নিকাশি নালা নির্মাণের জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খাতড়া ১, খাতড়া ২ এবং সুপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় মোট প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ নালা তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ নালা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ঠিকাদার সংস্থা সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করছে না বলে জেলা সভাধিপতির কাছে অভিযোগ আসে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঢালাইয়ের পর যতটা জল দেওয়া উচিত, তা আদৌ দেওয়া হচ্ছে না। এতে ঢালাই মজবুত হচ্ছে না। নির্মাণ সামগ্রীর মিশেলের অনুপাতেও ওই সংস্থা গরমিল করছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ পেয়েই জেলা পরিষদের তরফে মৌখিক ভাবে সংস্থাটিকে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। কিন্তু তারপরেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল সংস্থাটি। এর পরে জেলা পরিষদ চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অরূপবাবু বলেন, “খাতড়া পুরশহরের স্বীকৃতি পেতে চলেছে। তাই দ্রুত শহরে নিকাশি ব্যবস্থা গড়া দরকার। কিন্তু কাজের মান খারাপ হলে অচিরেই নিকাশি বিপর্যস্ত হবে। সেই কথা মাথায় রেখে আমরা নির্মাণের মান বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নীলকমল ঘোষ বলেন, “জেলা সভাধিপতির নির্দেশ মতোই আমরা ওই ঠিকাদার সংস্থাকে চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।” জেলা সভাধিপতি জানান, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ে নির্মাণ কাজ খতিয়ে দেখা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে তবেই ওই সংস্থা কাজ চালু রাখার ছাড়পত্র পাবে।

যদিও নির্মাণের গুণগত মান নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ঠিকাদার সংস্থার ডিরেক্টর গুরুপদ মাঝি। তাঁর বক্তব্য, “সঠিক পদ্ধতি মেনেই কাজ হচ্ছে। ভাল মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কেন এই ধরণের অভিযোগ উঠছে, বুঝতে পারছি না।’’ তিনি জানান, জেলা পরিষদের চিঠি পাওয়ার পরেই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক তদন্তের জন্যও তাঁর সংস্থা তৈরি বলে গুরুপদবাবু দাবি করেন। তাঁর কথায়, “অভিযোগ যখন উঠেছে, তদন্ত হোক। জেলা পরিষদের কাছে কোনও ভুল বার্তা গিয়েছে। তদন্ত হলেই সব প্রমাণ হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Contractor Work Stopped
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE