Advertisement
০৪ মে ২০২৪

হিড়বাঁধে পঞ্চায়েত খোয়াল সিপিএম

ভোটের মুখে ফের দলবদল। রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের মণি কালিন্দী এবং দুই সিপিএম সদস্য নমিতা বাউরি ও সালুনি সোরেন যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এলাকার প্রায় শতাধিক সিপিএম কর্মী। এই দলবদলের ফলে হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা সিপিএমের হাতছাড়া হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিড়বাঁধ ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৬ ০১:২৭
Share: Save:

ভোটের মুখে ফের দলবদল। রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের মণি কালিন্দী এবং দুই সিপিএম সদস্য নমিতা বাউরি ও সালুনি সোরেন যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এলাকার প্রায় শতাধিক সিপিএম কর্মী। এই দলবদলের ফলে হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের ক্ষমতা সিপিএমের হাতছাড়া হল।

প্রশাসন সূত্রের খবর, হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১২টি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার মধ্যে ৮টির দখল যায় সিপিএমের হাতে। ৪টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। এখন প্রধান-সহ তিন সদস্যের দলবদলের ফলে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭। সিপিএমের সদস্য রয়েছেন ৫ জন।

এ দিন বিকেলে হিড়বাঁধের মশিয়াড়া এলাকায় প্রচার সভা করেন তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না মান্ডি। ওই সভায় জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী এবং খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি জয়ন্ত মিত্র ওই তিন জনের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন। অরূপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের কাজে সামিল হওয়ার জন্যই ওঁরা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে এলাকায় দলের সংগঠন আরও বাড়ল।’’ দলত্যাগীদের তরফে মণি কালিন্দীও বলেন, “এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই আমরা স্বেচ্ছায় সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’

ভোটের আগে হিড়বাঁধ পঞ্চায়েতের দখল পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উজ্জীবিত তৃণমূল শিবির। যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি। তাঁর দাবি, “প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের দলের নির্বাচিত সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে দলের কোন ক্ষতি হবে না।’’

পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। শনিবার রাতে বাঁকুড়া শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী রঞ্জিৎকুমার মজুমদার কয়েক জন অনুগামী-সহ কংগ্রেসে যোগ দেন। শহরের কংগ্রেস কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি নীলমাধব গুপ্তের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দলবদল হয়। বস্তুত, রঞ্জিৎবাবু তৃণমূল কর্মী হলেও গত পুরনির্বাচনে টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা বর্তমান কাউন্সিলর হিরণ চট্টরাজের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তার পর থেকে দলের সঙ্গে তাঁর আর ঘনিষ্ঠতা ছিল না। রঞ্জিৎবাবু বলেন, “এলাকার উন্নয়ণের স্বার্থেই কংগ্রেসে যোগ দিলাম।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ্মনাভ বিশ্বাস বলেন, “ওই ওয়ার্ডের অনেক কর্মী রঞ্জিৎবাবুর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে দল আরও শক্তিশালী হল।’’ ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হিরণবাবু অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “রঞ্জিৎবাবুর জনভিত্তি বলে কিছুই নেই। তাই ওনাকে নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই”।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Panchayet
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE