পাত পেড়ে খাওয়া। —নিজস্ব চিত্র।
পুজো উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দুঃস্থদের জন্য পঙ্ক্তি ভোজোনের ব্যবস্থা করল মহম্মদবাজার প্যাটেলনগর টাউনশিপের সংহতি ক্লাব। রবিবার ওই অনুষ্ঠানে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণও করা হয়। গত ৩০ বছর ধরে টাউনশিপে দুর্গাপুজো করে আসছে ওই ক্লাবটি। এলাকার একমাত্র পুজো হওয়ার সুবাদে টাউনশিপের অধিকাংশ পরিবারই সেটির সঙ্গে যুক্ত। উদ্যোক্তারা জানান, প্রতিবছর পুজোর সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করা হয়। কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ভবানীপ্রসাদ দত্ত ও অসীম দে সরকার জানান, রবিবার সন্ধ্যা থেকে এ বারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। নাচ এবং গান পরিবেশন করেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। আমোদপুরের নাট্যতীর্থ ঝুমুর নাটক পরিবেশন করে। এলাকার দুঃস্থ মানুষজনের হাতে বস্ত্র তুলে দেন শিল্পপতি স্বপনকান্তি ঘোষ, তাঁর দাদা তথা ক্লাব সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ প্রমুখ।
উদ্যোক্তারা জানান, নতুন পোশাক দেওয়ার পাশাপাশি রবিবার রাতে দুঃস্থদের পঙ্ক্তি ভোজনে ভাত ও মাংস খাওয়ানো হয়েছে। পাত পেড়ে খাওয়ায় সামিল হয়েছিলেন ক্লাবের সদস্য এবং টাউনশিপের বাসিন্দারাও। প্যাটেলনগর হাটতলার বাসিন্দা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা শঙ্করী দাস, রাজ্যধরপুরের বৃন্দা মাল, শান্তি মাল, জটা কিসকুরা বলেন, ‘‘ক্লাবের লোকজন লক্ষ্মী পুজোর সকালেই বাড়ি বাড়ি এসেছিলেন। পুজোর সময় অনেকেই পাত পেড় খাওয়া বা জামা-কাপড় দেওয়ার আয়োজন করেন। কিন্তু এ ভাবে বাড়িতে এসে নিমন্ত্রণ কেউ করেন না।’’
অন্যদিকে, প্রতি বছরের মতো এ বারও মহরম উপলক্ষে সাঁইথিয়া চার নম্বর ওয়ার্ডের বড় মসজিদ কমিটি পঙ্ক্তি ভোজনের আয়োজন করেছিল শনিবার। মসজিদের ইমাম রফিউদ্দিন খান ও মসজিদ কমিটির কর্মকর্তা শেখ সেরাফত আলি জানান, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রায় তিন হাজার মানুষ এ দিন এক সঙ্গে পাত পেড়ে খেয়েছেন। পরিবেশন করা হয়েছিল খিচুড়ি।
অন্যদিকে এ দিন ফি বছরের মতো এ বারও লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষ্যে ময়ূরেশ্বরের দক্ষিণগ্রাম আমরা সবাই ক্লাবের পক্ষ থেকে পঙক্তিভোজ খাওয়ানো হল প্রায় ১০ হাজার মানুষকে। ক্লাবের সম্পাদক হরপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘টানা ১০ বছর থেকে পঙক্তিভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। মূলত দুঃস্থ মানুষজনের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ।’’
অন্যদিকে এ দিনই ওই গ্রামেরই সেবা সংঘের পক্ষ থেকে রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ রায়। ক্লাবের সম্পাদক গৌরাঙ্গ পাল বলেন, ‘‘রক্তের আকাল মেটাতেই এই উদ্যোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy