Advertisement
E-Paper

Cyclone Yaas: শিয়রে ঘূর্ণিঝড়, মোকাবিলায় কোমর বেঁধে তৈরি প্রশাসন

বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত দোকানে শুকনো খাবার পাওয়া যায়, বিক্রেতাদের যোগাযোগের নম্বরও হাতের কাছে রাখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ০৭:৩০
ঘন মেঘ: মুখ ভার বিকেলের আকাশের। বাঁকুড়ার জুনবেদিয়ায় সোমবার।

ঘন মেঘ: মুখ ভার বিকেলের আকাশের। বাঁকুড়ার জুনবেদিয়ায় সোমবার। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

‘ইয়াস’-এর পথে আসতে পারে পুরুলিয়া, সে কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। সোমবার এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠক হয়। তাতে যোগ দেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দফতরের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ছিলেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, প্রতিটি ব্লকের বিডিওরা ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বিপর্যয় মোকাবিলায় বিদ্যুৎ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন দফতরকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে জেলার প্রতিটি পুরসভাকে। বিদ্যুৎ দফতরকে প্রতিটি ব্লকে খুঁটি মজুত রাখা হচ্ছে। প্রতি ব্লকে ‘সিভিল ডিফেন্স’-এর দল প্রস্তত থাকছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত দোকানে শুকনো খাবার পাওয়া যায়, বিক্রেতাদের যোগাযোগের নম্বরও হাতের কাছে রাখাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পরে, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, ‘‘কী ভাবে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা যায়, সে লক্ষ্যে বৈঠক হয়েছে। মানুষের সমস্যা মোকাবিলায় দ্রুত যাতে পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’

জেলাশাসক জানান, প্রতি ব্লকে কন্ট্রোল রুম ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। যেহেতু ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে, তাই যাঁরা কাঁচা বাড়িতে বসবাস করেন, তাঁদের নিরাপদ জায়গা সরাতে বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বিদ্যুৎ দফতর, পূর্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়লে, প্রতি ব্লকে বন কর্মীদের নিয়ে গাছ কাটার কাজ হবে।

এ দিকে, ঝড়ের অভিমুখ উত্তর-পশ্চিমে থাকায় বান্দোয়ান, বাঘমুণ্ডি ও ঝালদা এলাকা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে সুজয়বাবু বলেন, ‘‘আসন্ন বিপর্যয় যাতে প্রতিটি দফতর মিলে সামাল দিতে পারি, তাই মূল লক্ষ্য। কাঁচা বাড়িতে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের সরিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন স্কুলবাড়িতে নিয়ে যাওয়া যায়, তা দেখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, জেলা পরিষদের সমস্ত সদস্যদের জেলা পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।’’ এ দিকে, জেলায় প্রথম বান্দোয়ানেই ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিডিও (বান্দোয়ান) কাসিফ সাবির জানান, বিষয়টি মাথায় রেখে ‘কম্বাইন্ড অ্যাকশন টিম’ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রতিটি থানা এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফেও এ দিন ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’-এর মাধ্যমে মহকুমাশাসক ও বিডিওদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়ার আগে জেলার ত্রাণ শিবিরগুলির পরিকাঠামো গড়ার প্রস্তুতি কেমন চলছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বা বিদ্যুৎ পরিষেবা অচল হয়ে পড়লে, কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাঁকুড়া জেলার বন্যাপ্রবণ এলাকায় যে সমস্ত মানুষজন কাঁচা বাড়িতে থাকেন, তাঁদের ঝড়বৃষ্টির আগেই ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Cyclone Yaas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy