জীবিকা: জমিতে সার। নিজস্ব চিত্র
জুন থেকে অগস্ট খারিফ ধান চাষের আদর্শ। জেলায় চলতি বছর এই তিন মাসে ঠিকমতো বৃষ্টিপাত হয়নি। কৃষি দফতরের হিসেবে, এখনও পর্যন্ত জেলায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের অভাব রয়েছে। কিন্তু কষ্ট করেও ধান রোয়ার কাজ প্রায় শেষ করেছেন চাষিরা। এখনও পর্যন্ত ৯০ শতাংশ খারিফ ধানের চাষ হয়েছে।
ধান রোপণের কাজ শেষ হতেই জেলা জুড়ে ইউরিয়া সারের চাহিদা তুঙ্গে। কিন্তু সারের জোগানে অভাব দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, সেই সুযোগে জেলায় সারের কালোবাজারি শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জেলার কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সারের জোগান ঠিক রাখতে সোমবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকে জেলার সাঁইথিয়া রেক পয়েন্ট বন্ধ। যার জেরে সার মজুত করা হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজার এবং বর্ধমান রেক পয়েন্ট থেকে বীরভূমের জন্য সারের জোগান দেওয়ার কথা। কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা (প্রশাসন) সমীরকুমার দাস জানান, কাশিমবাজার ও বর্ধমান রেক থেকে জেলার ৭০ শতাংশ ইউরিয়া সারের চাহিদা জোগান দেওয়ার কথা, সেখানে মাত্র ৩০ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষি দফতরের সহকারী অধিকর্তা (তথ্য) অমর মণ্ডল জানান, জেলায় ৬ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের জোগান থাকার কথা। সেখানে তিন দিন আগে ৩৯০ টন ইউরিয়া পাওয়া গিয়েছে।
সারের অভাবে দুবরাজপুর থেকে রাজগ্রামের চাষিরা দুর্ভোগে পড়েছেন। রাজগ্রাম এলাকার চাষিরা জানিয়েছেন, একে এই মরসুমে ঠিকমতো বৃষ্টি হয়নি। সেই পরিস্থিতিতেও ধান রোপনের কাজ শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে ধান গাছের ‘চাপান সার’ হিসেবে ইউরিয়া দিতে হবে। কিন্তু বাজারে ইউরিয়া মিলছে না। মুর্শিদাবাদ বা ঝাড়খণ্ড থেকে চড়া দামে ইউরিয়া কিনে জমিতে দিতে হচ্ছে। চাষিদের দাবি, ইউরিয়ার অভাব দ্রুত মেটানোর উদ্যোগ নিতে হবে প্রশাসনকে। কালোবাজারি রুখে নায্য দামে ইউরিয়া বাজারে জোগানের ব্যবস্থাও করতে হবে।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে খারিফ ধানের চাষ হয়। এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৮১১ হেক্টর জমিতে খারিফ ধান চাষ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy