পরিদর্শন: বাঘমুণ্ডির পাথরডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। —নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানায় প্রাচীর নেই। রাতে বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ে। পুরুষ ওয়ার্ডে থাকতে হয় মহিলা রোগীদের। যথেষ্ট চিকিৎসক ও কর্মীও নেই। জনসংযোগ কর্মসূচির শেষ দিন, মঙ্গলবার বাঘমুণ্ডি ব্লকের পাথরডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিদর্শনে এসে এমনই নানা অভিযোগ শুনলেন ঝালদার মহকুমাশাসক সুশান্তকুমার ভক্ত। সমস্যা মেটানোর বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ দিন সকালে বিডিও (বাঘমুণ্ডি) উৎপল দাস মহুরীকে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শনে বার হোন মহকুমাশাসক। প্রথমেই তাঁরা যান চড়িদা গ্রামে। সেখানে একটি আইসিডিএস কেন্দ্র পরিদর্শনের পরে জনসংযোগের টিম পৌঁছয় মাঠা আইসিডিএস সেন্টারে। কেন্দ্রগুলিতে তেমন সমস্যা না থাকলেও অপরিষ্কার শৌচাগার চোখ এড়াইনি মহকুমাশাসকের। কেন্দ্রগুলির দায়িত্বে থাকা কর্মীদের বিষয়টি নিয়ে সতর্কও করেন মহকুমাশাসক।
এর পরে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা পৌঁছন গোবিন্দপুরের একটি রেশন দোকানে। দোকানের রেজিস্টার-সহ অন্য বিষয়ে সন্তুষ্ট হলেও ডিলারকে সতর্ক করা হয় যেন রেশন নিয়ে কোনও অভিযোগ না আসে।
এর পরে পাথরডি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে মহকুমাশাসক আশপাশ ঘুরে দেখার সঙ্গে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। ধেয়ে আসতে থাকে একের পরে এক অভিযোগ। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ঝাঁ চকচকে ভবন তৈরি হয়েও তা কেন পড়ে রয়েছে, তা জানতে বিডিওকে নির্দেশ দেন তিনি।
এ বিষয়ে বাঘমুণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক অমরেন্দ্র রায় জানান, হাসপাতালের সমস্ত বিষয়ই ওঁদের কাছে তুলে ধরেছি। রোগীর অতিরিক্ত চাপের জন্যই পুরুষ ওয়ার্ডে মহিলা রোগীদের রাখতে হয় বলে জানান তিনি। পরিদর্শন শেষে এসডিও বলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেশ কিছু সমস্যার কথা জানলাম। বিডিও-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি। জেলাপ্রশাসনের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করব।’’
পরিদর্শন শেষে ব্লকের সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ব্লক চত্বরে আয়োজিত হয় সমন্বয় মিটিং। সেখান থেকে বেশ কয়েক জন প্রাপকের হাতে সরকারি সাহায্যের সুফল তুলে দেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy