E-Paper

পুরপ্রধান নির্বাচন, কুর্সির দাবিদার তিন

তৃণমূলের অন্দরের খবর, তারপরেই ঝালদার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল-সহ বাকিরা গোপন শিবিরে চলে গিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৩
ঝালদা পুরসভা।

ঝালদা পুরসভা।

পুরপ্রধানের কুর্সিতে এ বার কে? আজ, শনিবার ঝালদার পুরপ্রধান নির্বাচনের সভার আগে এই প্রশ্নেই সরগরম শহর।

মামলা-মোকদ্দমার পরে শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ পুরভবনে সেই সভা হওয়ার কথা। যদিও বিক্ষুব্ধদের দ্বারা অপসারিত পুরপ্রধান তৃণমূলের শীলা চট্টোপাধ্যায় ওই সভায় আসবেন কি না তা স্পষ্ট করেননি। শুক্রবার বিকেলে তিনি দাবি করেন, ‘‘দলের তরফে এ নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি। যেমন নির্দেশ আসবে, সে মতো পদক্ষেপ করা হবে!’’

দলের বিক্ষুব্ধ পাঁচ পুরপ্রতিনিধি কংগ্রেসের দুই পুরপ্রতিনিধির সঙ্গে তৃণমূলের পুরপ্রধান শীলার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন। তা ঠেকাতে তৃণমূল নানা কৌশল নিলেও কাজে লাগেনি। অনাস্থা সংক্রান্ত তলবিসভাও ঠেকানো যায়নি। শীলা অপসারিত হয়েছেন। এ বার পুরপ্রধান নির্বাচন থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে রাখারও চেষ্টা হয়েছে। তাঁদের বাগে আনতে বৃহস্পতিবার ঝালদার পাঁচ পুরপ্রতিনিধিকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

তৃণমূলের অন্দরের খবর, তারপরেই ঝালদার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল-সহ বাকিরা গোপন শিবিরে চলে গিয়েছেন। কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি পূর্ণিমা কান্দুর মোবাইল ফোনও শুক্রবার বিকেলের পর থেকে বন্ধ। তবে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘আমাদের দলের দুই পুরপ্রতিনিধিকে পুরপ্রধান নির্বাচনের সভায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

প্রশ্ন উঠছে, কাকে পুরপ্রধান করা হবে? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কংগ্রেসের মাত্র দুই পুরপ্রতিনিধি থাকায় তাঁরা পুরপ্রধান হওয়ার লড়াইয়ে নাও থাকতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের অনুমান, বেশ কয়েকবারের প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পুরপ্রধান পদের জন্য দাবি জানাতে পারেন।

আবার বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশের দাবি, প্রাক্তন উপুপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারের নামও ভাসছে। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে এক মহিলা পুরপ্রতিনিধিও ঘনিষ্ঠ মহলে নিজেকে ওই পদের যোগ্য বলে দাবি করছেন। সূত্রের দাবি, গোপন ডেরায় এ নিয়ে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষুব্ধ পুরপ্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা সূত্র খুঁজতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে সুরেশের দাবি, ‘‘যা হবে শনিবারই দেখে নেবেন।’’ সুদীপ বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কে পুরপ্রধান হবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।’’

তবে পুলিশ সতর্ক। জানিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরভবন এবং লাগোয়া এলাকায় তাদের নজরদারি থাকবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jhalda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy